বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ায় একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ছয় মাসের জন্য গঠিত এই কমিটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকার। ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও ব্যাংক এশিয়ার চেয়ারম্যান রোমো রউফ চৌধুরী।
গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রক্ষমতার এই পট পরিবর্তনের পর নজরুল ইসলাম মজুমদারকে এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বিএবির প্রেসিডেন্টের পদও হারান তিনি।
২০০৮ সাল থেকে টানা ১৭ বছর বিএবির প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। যদিও বিএবির সংঘস্মারক অনুযায়ী, এক কমিটির মেয়াদ তিন বছর।
দীর্ঘ এই সময়ে ব্যাংক খাতের করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) বা সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বড় অঙ্কের অর্থ সংগ্রহ করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেছেন নজরুল ইসলাম মজুমদার। সেজন্য তুমুল সমালোচনা হয় তাকে নিয়ে।
নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিএবির দুই ভাইস প্রেসিডেন্টও সরকার বদলের পর ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। ফলে এই দুজনও বিএবির নেতৃত্বে থাকার যোগ্যতা হারান। তারা হলেন- আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু। তিনি এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের ভাই। অন্যজন হলেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী। তিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের ভাই।
বিএবি সূত্রে জানা যায়, বিএবি নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ায় সোমবার সাধারণ সভা ডাকে সংগঠনটি। তাতে আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে নতুন অ্যাডহক কমিটি গঠিত হয়। ছয় মাস পর নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনটির পরবর্তী কমিটি গঠন করবে এই কমিটি।