সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে চলমান ঢাকা বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ১০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
সোমবার বাংলাদেশের জন্য এই ঋণ সহায়তা অনুমোদন করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থাটি।
রাজধানী ঢাকার ওপর যানবাহনের চাপ কমাতে জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর পর্যন্ত (ঢাকা বাইপাস) চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ককে চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে রূপান্তরে নেওয়া দেশের প্রথম পিপিপি প্রকল্প।
ঢাকার মূল সড়ক এড়িয়ে গাজীপুর থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে দ্রুতগামী পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০১৮ সালে পিপিপির ভিত্তিতে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। আনুমানিক ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিবির দেওয়ার কথা ছিল ১০ কোটি ডলার।
এখানে দুই লেনের সড়ক ছিল। গাজীপুর থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে দ্রুত যান চলাচলের লক্ষ্যে বিদ্যমান সড়কটিকে চার লেনের ফ্লাইওভার হাইওয়েতে উন্নীত করে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ কমানোই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য।
এডিবির অতিরিক্ত অর্থায়ন নিয়ে সংস্থাটির আবাসিক প্রতিনিধি হোয়ে ইউন জং বলেন, “প্রকল্পটি বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। অবকাঠামো উন্নয়নের ঘাটতি মোকাবেলায় সরকারি অর্থায়নের ওপর চাপ কমাবে; কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করবে।”
তিনি বলেন, “এই ঋণ বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক ও অবকাঠামো অর্থায়ন তহবিলের সক্ষমতা বাড়াবে। একইসঙ্গে পিপিপির মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়বে।”
এডিবি বলছে, বাংলাদেশ রাজনৈতিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রাথমিকভাবে সরকারি খাত দ্বারা চালিত। এই খাত সীমিত সম্পদ এবং বাস্তবায়ন সীমাবদ্ধতার কারণে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। অবকাঠামো বিনিয়োগের একটি প্রধান বাধা হলো স্থানীয় বাজারে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ তহবিলের ঘাটতি।
এডিবির এ ধরনের ঋণের লক্ষ্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে এমন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলো সমাপ্ত করা।