শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা এবার প্রথমবারের মতো পাঁচটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও যশোরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ‘বি’ ইউনিট (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) এবং বিকেল ৩টায় ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৮৬ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থী।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে আরও জানান, এবার গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্র হিসেবে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি কমিটি জানিয়েছে, এ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২৭০ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৬ হাজার ১২ জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ৩ হাজার ৭৮০ জন ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৫ হাজার ৬২৭ জনসহ সর্বমোট ২৯ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
এছাড়া এ-২ (স্থাপত্য) ইউনিটে শাবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশ নেবেন ১ হাজার ২৪২ জন।
অন্যদিকে, বি ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯৮৩ জন, ঢাবিতে ১২ হাজার ৬৩৬ জন, বেরোবিতে ৫ হাজার ৫৬ জন, যবিপ্রবিতে ৩ হাজার ১৪ জন ও সিভাসুতে ১ হাজার ৪২৭ জনসহ মোট ৫৬ হাজার ৫৮ জন আবদেনকারীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাসহ মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৬৭১টি। ২৮টি বিভাগে মূল আসন ১ হাজার ৫৬৬।
এ বছর এ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) মোট আসন ৯৮৫টি এবং বি ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) মোট ৫৮১টি আসন রয়েছে। এসব আসন ছাড়াও অতিরিক্ত ১০৫টি কোটা আসন রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৮টি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী/জাতিসত্তা/হরিজন-দলিত কোটা ২৮টি, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪টি, পোষ্য কোটা ২০টি, চা–শ্রমিক কোটা পাঁচটি এবং বিকেএসপির খেলোয়াড় কোটা ১০টি।
শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই এবার পাঁচটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”