চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকারীদের ‘সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেন।
পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, “অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে যেসকল সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে।”
তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়া আন্তরিকভাবে বিবেচনা করেছে। কিন্তু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বিভিন্ন সভা সমাবেশে মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল।
“রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হওয়া সত্ত্বেও কোনও আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সভা করে বেড়াচ্ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ। মূলত এই ধরনের তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং বাংলাদেশ ও জুলাই অভ্যুত্থানকে নেতিবাচক হিসেবে উপস্থাপন করা। ভারতীয় মিডিয়া এরকম মিথ্যা প্রচারণা বরাবরই করে আসছে।”
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও তাকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণ। বেলা গড়াতেই গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয় এক আইনজীবীর রক্তাক্ত লাশ।
এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম আদালতে যেভাবে একজন আইনজীবীকে চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থকরা কুপিয়ে হত্যা করলো তা নজিরবিহীন। দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার পরিকল্পনা নিয়েই চিন্ময় কৃষ্ণ কাজ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যে এ ধরনের সন্ত্রাসী সমর্থকগোষ্ঠী তৈরি করেছে।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বরাবরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চেয়েছে। এখন ভারতীয় মিডিয়াও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা করে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি করতে চাচ্ছে।”
সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে বাংলাদেশের নাগরিক উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “তাদের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার নাশকতাকারী হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করবে।”
তথ্য উপদেষ্টা সবাইকে ধৈর্য ধারণ ও শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে দ্রুতই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।