Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

দাফনের ১১ বছর পর মামলা, তোলা হলো লাশ

dead body
[publishpress_authors_box]

আদালতের নির্দেশে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দাফনের ১১ বছর পর কবর থেকে তোলা হয়েছে কিশোরের লাশ। ওই সময়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের।

মতিউর রহমান সজীব (১৭) বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রয়াত আব্দুল রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

মঙ্গলবার দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিনের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহটি তোলা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তা ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সজীবের মরদেহ তোলা হয়েছে। এ সময় কবরে বুলেট সদৃশ একটি বস্তু পাওয়া গেছে। পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সামনে আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি করে ৭ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার ১১ বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিহত মতিউর রহমান সজীবের পরিবারের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জাসহ ১১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলার আবেদন করা হয়।

আদালতের নির্দেশে আবেদনটি কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুরুজ্জামান, কোম্পানীগঞ্জ থানার সাবেক পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত