Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪

৪৮ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ বাড়িয়ে তুলেছে এআই

ai-datacenter-030724
[publishpress_authors_box]

কমিয়ে আনার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালের চেয়ে ৪৮ শতাংশ বেড়ে গেছে গুগলের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ।

হালের এক পরিবেশ বিষয়ক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।  

বিবিসি জানাচ্ছে, সাধারণ অনলাইন কাজের চেয়ে এআই চালাতে গেলে ডেটা সেন্টারে অনেক বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর এতেই পরিবেশের উপর ধারাবাহিক চাপ বাড়ছে।

গুগল প্রতিজ্ঞা করেছিল, ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষতিকারক গ্যাসের নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে।

“এখন যেহেতু আমাদের সেবায় এআই যোগ করতে হয়েছে, এই নিঃসরণ কমিয়ে আনা আর সহজসাধ্য থাকছে না।”

গুগল থেকে এমন আভাসই পেয়েছে বিবিসি।

২০২৪ সালের পরিবেশ বিষয়ক প্রতিবেদনে গুগল জানিয়েছে, “এআই কাজে লাগিয়ে বড় পরিসরে কাজ হচ্ছে, ফলে শক্তি সরবরাহের চাহিদাও বেড়ে গেছে।”

ডেটা সেন্টারে এমনিতেই সারি সারি সার্ভার থাকে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসার পর এখানে শক্তিশালী সার্ভারের সংখ্যা আরও বাড়াতে হচ্ছে।

সাধারণ সফটওয়্যারে কাজ করার চেয়ে চ্যাটজিপিটির মতো একটি এআই সিস্টেম চালাতে গেলে ৩৩ গুণ বেশি শক্তি দরকার।

প্রতিবেদন থেকে আরও ধরা পড়েছে, বিশ্বের অন্যা জায়গায় চেয়ে গুগলের ডেটা সেন্টার থেকেই পরিবেশের প্রতি বিরূপ প্রভাব ছড়াচ্ছে বেশি।

ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত কার্বন মুক্ত উৎস থেকেই শক্তি জোগান দেওয়া হয়।

এমনকি মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেটা সেন্টারেও শক্তির জোগানে কার্বনের পরিমাণ কম দেখা যায়।   

গুগল যদিও দাবি করছে, তাদের দুই-তৃতীয়াশ শক্তির জোগান হয় কার্বন মুক্ত উৎস হতে।

কিন্তু এআই সেবার পরিসর বাড়তে থাকায় শক্তি ও পানির চাহিদাও দ্রুত বাড়াতে হচ্ছে; যা আসলে পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল গ্রিডের প্রধান গত মার্চে জানান, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এআই এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং সেবার চাহিদা অন্তত ছয় গুণ বেড়ে যাবে।

মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস হালে পরিবেশের উপর এআই প্রযুক্তির প্রভাব কমিয়ে রাখা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

গত সপ্তাহে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তিনি পরামর্শ দেন, এআই চালাতে বিদ্যুতের খরচ অবশ্যই ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে।

ব্রেকথ্রু এনার্জি সামিটে বিল গেটস  বলেন, “প্রশ্ন হলো, এআই কি এই চাহিদা ৬ শতাংশের কমে রাখতে পারবে? উত্তর হচ্ছে, অবশ্যই।”  

বিল গেটস মনে করেন, প্রযুক্তিই পারবে পরিবেশ সমস্যার সমাধান দিতে।

তার প্রতিষ্ঠিত ব্রেকথ্রু এনার্জি ভেঞ্চার এরমধ্যে গ্রিনহাউস কমিয়ে আনতে সক্ষম প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপে ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত