ছয় দিন পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমুকে। এদিকে তাকে যে হত্যামামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, সেই মামলায় রিমান্ডে পাঠানো হলো ক্ষমতাচ্যুত দলটির সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে।
সাবেক এই দুই সংসদ সদস্যকে ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকার নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় গুলিতে প্রাণ হারান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ।
নিহতের শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে পরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
সেই মামলায় আমুকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সোমবার ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শম্ভুকে।
মঙ্গলবার তাকে ঢাকার আদালতে নিয়ে ১০ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন ওয়াদুদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা জোনাল টিমের সদস্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিপ।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
দুই পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম শরীফুর রহমান আসামি শম্ভুকে ৬ দিন রিমান্ডে রাখার আদেশ দেন।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমুকে গত ৬ নভেম্বর ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিল পুলিশ। পরদিন ওয়াদুদ হত্যামামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে ৬ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার আমুকে মহানগর হাকিম শরীফুর রহমানের আদালত হাজির করে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে আমুর আইনজীবী করেন জামিনের আবেদন।
শুনানি শেষে হাকিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আমুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।