Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হাসিনা-জয়সহ ৯৩ জনের নামে মামলার আবেদন

শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইল ছবি
শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইল ছবি
[publishpress_authors_box]

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট নুপুর আখতারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। 

রবিবার ঢাকার মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে আইনজীবী নুপুর নিজেই বাদী হয়ে এই আবেদন করেন। 

এ সময় আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন। মামলার আবেদনে অজ্ঞাতনামা আরও ৫ থেকে ৬শ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী নুপুর আখতার সকাল সন্ধ্যাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে যেসব আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাসানুল হক ইনু, আনিসুল হক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, নসরুল হামিদ বিপু, জুনাইদ আহমেদ পলক, ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ হেলাল উদ্দিন, মাইনুল হোসেন খান নিখিল, হারুন অর রশিদ, বিপ্লব কুমার সরকার।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় নুপুর আখতার আন্দোলনে অংশ নেন। এসময় হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করলে তার বাম হাতে একটি এবং মাথায় আরেকটি গুলি লাগে। এতে তিনি গুরুতর জখম হয়। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হুমকিতে চিকিৎসা না করে ফেরত যেতে হয়।

“পরে বাধ্য হয়ে তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে থাকেন। পরে আরও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাথার এক্স-রে করেন। পরে চিকিৎসক রিপোর্ট দেখে তাকে অপারেশন করতে বলেন। গত ১৭ ডিসেম্বর অপারেশন করে তার মাথা থেকে গুলির বিচ্ছিন্ন অংশ বের করা হয়।”

দেড় দশক দেশ শাসনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর থেকে সেখানেই আছেন তিনি।

জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যা-নিপীড়নের ঘটনাগুলোর জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিচার করতে আন্দোলনকারীরা তাকে ফেরত আনার জোর দাবি জানিয়ে আসছে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার হত্যা, গুম ও গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, হচ্ছে।

জুলাই-আগস্টে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এবং গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুম-খুনের অভিযোগে দুই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরেয়ানাও জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত