Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন

imf-headquarter-050624
Picture of আবদুর রহিম হারমাছি

আবদুর রহিম হারমাছি

বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি (৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন) ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।এই কিস্তিতে দেওয়া হবে ১১৫ কোটি (১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন) ডলার।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় পর্ষদের সভায় এই ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আইএমএফের বোর্ড সভায় আমাদের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই এই অর্থ আমাদের রিজার্ভে যোগ হবে। এর ফলে আমাদের রিজার্ভ বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে।”

এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের ৫০ কোটি ডলার, এডিবি’র ২৫ কোটি, এআইআইবি’র ৪০ কোটি এবং কোরিয়া সরকারের বাজেট সহায়তার ১০ কোটি ডলার ঋণ কয়েক দিনের মধ্যেই রিজার্ভে যোগ হবে। সে হিসাবে চলতি জুন মাসের মধ্যেই বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে বলে জানান মেজবাউল হক।

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। ওই বছরের ২৪ আগস্ট ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ৪৮ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।

এর পর থেকে কমছেই। গত ১৯ জুন বিপিএম-৬ হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে ছিল ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।

গত বছরের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। অনুমোদনের দুই দিনের মাথায় ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশ ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার রিজার্ভে যোগ হয়।

এর পর গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৯ কোটি ডলার ছাড় করে আইএমএফ।

২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির পরবর্তীগুলোতে সমান অর্থ থাকার কথা ছিল। কিন্তু রিজার্ভ আরও কমে যাওয়ায় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তিতে বেশি অর্থ চায় বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু কঠিন শর্তের বাস্তাবয়ন ও আগামীতে আরও বড় সংস্কার কার্যক্রমের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সংস্থাটি তৃতীয় কিস্তিতে ৬৮ কোটি ডলারের পরিবর্তে ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন করেছে।

তবে মোট ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ একই থাকবে।

এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশকে প্রায় ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।

এরমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, ৫০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা হিসেবে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত