দু-দুবার পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরল। ঘুরে দাঁড়ানো দলটি যখন লিভারপুল, তখন ব্যাপারটি সাধারণ। কিন্তু এই ঘুরে দাঁড়ানো যদি ১০ জনের দল নিয়ে হয়? তাহলে নিশ্চয় প্রশংসা কুড়াবে। লিভারপুল সেটা পাচ্ছে। ২০-৩০ মিনিট নয়, ইনজুরি টাইম মিলিয়ে দীর্ঘ ৮৯ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলেছে অলরেডস। তবু থামেনি লিভারপুল।
ম্যাচের ১৭তম মিনিটে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যান্ডি রবার্টসন। বাকিটা সময় খেলতে হয়েছে ১০ জন নিয়ে। লাল কার্ডের ধাক্কাও লিভারপুলকে নড়াতে পারেনি। ঘরের মাঠে ফুলহামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করলেও এটি জয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয় আর্নে স্লটের দলের জন্য।
অ্যানফিল্ডে সবাইকে তাক লাগিয়ে ফুলহামকে এগিয়ে নেন আন্দ্রেয়াস পেরেইরা। ১১তম মিনিটে তার গোলের এগিয়ে যায় সফরকারীরা। পিছিয়ে পড়ার সঙ্গে লিভারপুলে আরও ধাক্কা লাগে মিনিট ছয়েক পর রবার্টসন সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে।
১০ জন নিয়েও অবশ্য ৪৭ মিনিটে লিভারপুলকে খেলায় ফেরার ইঙ্গিত দেন কডি গাকপো। ম্যাচ তখন ১-১ সমতায়। কিন্তু ৭৬ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় ফুলহাম। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন রোদ্রিগো মুনিস। একজন কম নিয়ে খেলা দলের পক্ষ্যে এই ব্যবধান ঘুচানো কঠিন। তবে লিভারপুল আবার দেখিয়ে দিল, কেন এবার শিরোপা দৌড়ে ফেভারিট ধরা হচ্ছে তাদের। ৮৬ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ডিয়েগো জোতার গোলে সমতায় ফেরে লিভারপুল।
ইয়ুর্গেন ক্লপ দায়িত্ব ছাড়ার পর স্লটের অধীনে লিভারপুল আরও দুর্বার। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে তাদের ১৯ জয়ের বিপরীতে হার মাত্র একটিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রেখেছে। আর ফুলহাম ম্যাচ দিয়ে দৃঢ় মনোবল ও আত্মবিশ্বাসের সবচেয়ে বড় প্রমাণ হয়তো দিল স্লটের লিভারপুল।
যেকারণে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়েরও প্রশংসা কুড়াচ্ছে অলরেডস। ফুলহামের আন্টোনি রবিনসন বলেছেন, “তাদের (লিভারপুল) কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা যে ১০ জন নিয়ে খেলেছে, দেখে মনেই হয়নি। ওরা ওপরের দিকে এসে চাপ তৈরি করে ঝুঁকি নিয়েছে এবং সেটার পুরস্কারও পেয়েছে।”
১০ জনের দল নিয়ে ড্র করে মাঠ ছাড়তে পেরে আনন্দিত লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক, “দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। ইতিবাচক অনেক বিষয় আছে। ১০ জন নিয়ে খেলা অবশ্যই হতাশার, তবে আমরা লড়াই করেছি।”