যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগে করা মামলায় নিলফামারীর সিনিয়র সহকারী জজ মো. নিয়াজ মাখদুম শিবলীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. তৌহিদুল ইসলাম সজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় ২০২৪ সালে মামলাটি করা হলে আদালত প্রথমে সমন জারি করেন। সমন পেয়েও আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় আমরা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করি। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”
মামলায় বলা হয়, ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ১৫ লাখ ১৫ টাকা দেনমোহরে নিয়াজ মাখদুম শিবলীর সঙ্গে আফরিদা আইরিন আর্শীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় শিবলীর দাবি অনুযায়ী আর্শীকেবিভিন্ন আসবাবপত্র দেওয়া হয়; যার মূল্য প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিয়েতে অভিভাবক ও আত্মীয় স্বজনের পক্ষ থেকে উপহার হিসাবে পাওয়া ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারও আর্শীকে দেওয়া হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, বিয়ের পর ধীরে ধীর আর্শী লক্ষ্য করেন, তার স্বামী শিবলী বদমেজাজী, স্বেচ্ছাচারী, নারী নির্যাতনকারী, পর নারীতে আসক্ত, উশৃঙ্খল চালচলন ও অনৈতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তিনি এসব কাজে বাধা দেওয়ায় ও প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়; শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তারপরও আর্শী স্বামী-সংসার ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সব অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেন। শিবলীকে সুপথে ফিরিয়ে আনার নানা উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার বেপরোয়া চলাচল ও নির্যাতন বাড়তে থাকে। তিনি প্রায়ই গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন।
আর্শী প্রতিবাদ করলে শিবলী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যতন করতে থাকেন। তার অত্যাচার ও নির্যাতনে আর্শীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। সবশেষ গত ২৫ অক্টোবর রাতে আর্শীর বর্তমান ঠিকানা রাজধানী ঢাকার দারুস সালাম থানাধীন দক্ষিণ কল্যাণপুরআসেনশিবলী। সংসার করার কথা বলে আর্শীর কাছে নগদ ৩০ লাখ টাকা, একটি প্রিমিও গাড়ি ও একটি ফ্ল্যাট যৌতুক দাবি করেন তিনি। সেসব না দিলে তাকে দেওয়ার কথা বলেন।