প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্পই লিখল পিএসজি। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৪-২ ব্যবধানের রূপকথার জয় পেল তারা। কোচিং ক্যারিয়ারে পেপ গার্দিওলার বিপক্ষে পাঁচবারের দেখায় ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন বন্ধু লুইস এনরিকেও।
এই জয়ে ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ২২ নম্বরে উঠে এসে শেষ ২৪-এর আশা বাঁচিয়ে রাখল এনরিকের পিএসজি। আর কেবল ৮ পয়েন্ট নিয়ে ২৫-এ নেমে যাওয়া ম্যানসিটিকে পাঠিয়ে দিল বিদায়ের দুয়ারে। টিকে থাকতে হলে শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে জিততেই হবে তাদের।
ফল
পিএসজি ৪ : ২ ম্যানসিটি
আর্সেনাল ৩ : ০ দিনামো
ফেইনুর্ড ৩ : বায়ার্ন
মিলান ১ : ০ জিরোনা
প্রাগ ০ : ১ ইন্টার
অপর ম্যাচে বড় হোঁচটই খেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। ফেইনুর্ড তাদের হারিয়েছে ৩-০ গোলে। দিনামো জাগরেবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে আর্সেনাল। সমান ৭ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের পয়েন্ট ২১, বার্সার ১৮, আর্সেনালের ১৬, ইন্টার মিলানের ১৬, আতলেতিকোর ১৫, এসি মিলানের ১৫, আতালান্তার ১৪, লেভারকুসেনের ১৩। বায়ার্ন মিউনিখ ১২ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে ১৫ নম্বরে।
আগের রাতে বেনফিকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়েও ৫-৪’এ জিতেছিল বার্সা। সেই ম্যাচ থেকে হয়তো প্রেরণা নিয়ে প্রত্যাবর্তনের অনবদ্য এক গল্প লিখল পিএসজি। গোলের জন্য পোস্টে ২৬টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখে পিএসজি। আর ৯ শটের ৬টি লক্ষ্যে রাখে সিটি।
৫০তম মিনিটে জ্যাক গ্রিলিশের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানসিটি। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্লিং হলান্ড। তখন মনে হচ্ছিল বাজে সময় পেছনে ফেলে জেগে উঠেছে সিটি। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় পিএসজি।
৫৬ মিনিটে উসমান দেম্বেলের পর ৬০ মিনিটে দারুণ এক গোলে ২-২ সমতা ফেরান ব্রাডলি বারকোলা। দিজিরে দুয়ের শট ক্রসবারে লেগে ফেরার পর বারকোলার শট পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জড়ায় জালে।
৭৮ মিনিটে ভিতিনিয়ার ফ্রি-কিকে দারুণ হেডে পিএসজিকে ৩-২ গোলের লিড এনে দেন জোয়াও নাভাস। ইনজুরি টাইমের তৃতীয় মিনিটে গনসালো রামোসের গোলে স্মরণীয় জয় পায় পিএসজি। শুরুতে অফসাইডের পতাকা উঠলেও ভিএআরে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
অপর ম্যাচে বায়ার্নকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ফেইনুর্ড। জোড়া গোল করেছেন সান্তিয়াগো হিমেনেস। অন্য গোলটি আয়াসে উয়েদার। দিনামো জাগরেবকে ৩-০ গোলে হারানো ম্যাচে আর্সেনালের হয়ে একটি করে গোল করেন ডেকলান রাইস, কাই হাভার্টজ ও অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড।