রোমাঞ্চকর এক ম্যাচই হল টটেনহামের মাঠে। শুরুতে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও ৪-৩ ব্যবধানে জিতল চেলসি। আর ৭ গোলের নাটকীয় ম্যাচ জিতে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় আর্সেনালকে পেছনে ফেলে দুইয়ে এখন চেলসি।
রবিবার অপর ম্যাচে ফুলহামের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে আর্সেনাল। ১৫ ম্যাচ শেষে চেলসির পয়েন্ট ৩১, আর্সেনালের ২৯ আর ম্যানচেস্টার সিটির ২৭। ২০ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহাম আছে ১১ নম্বরে। লিভারপুল ১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে এক নম্বরে।
প্রিমিয়ার লিগের ফল
টটেনহাম ৩ : ৪ চেলসি
ফুলহাম ১ : আর্সেনাল
লেস্টার ২ : ২ ব্রাইটন
পঞ্চম মিনিটে ডোমিনিক সোলাঙ্কি ও ১১তম মিনিটে দেইয়ান কুলুসেভস্কি এগিয়ে দিয়েছিলেন টটেনহামকে। দুটি গোলেই দায় আছে চেলসির ফুল-ব্যাক মার্ক কুকুরেইয়ার হাস্যকর দুটি ভুলের। সেই কুকুরেইয়ার পাসেই ১৭তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে এক গোল ফেরান জ্যাডন সানচো।
বিরতির পর ৬১ ও ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জোড়া গোল করেন কোল পালমার। প্রথমবার মোইজে কাইসেদো ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। দ্বিতীয়বার ফাউলের শিকার হয়েছিলেন পালমার নিজেই। দ্বিতীয় গোলটি করেন পানেনকা শটে।
এবারের লিগে পালমারের গোল এখন ১১টি। এছাড়া ২০২৪ সালে লিগে ৩৮টি গোলে সরাসরি অবদান রাখলেন তিনি, এক বছরের হিসেবে চেলসির কোনো খেলোয়াড়ের যা সর্বোচ্চ। পালমার গোল করেছেন ২৫টি আর অ্যাসিস্ট ১৩টি।
৭৩ মিনিটে অপর গোলটি এনসো ফার্নান্দেসের। ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে সন হিউং মিন এক গোল ফেরালেও ততক্ষণে দেরী হয়ে গিয়েছিল অনেক।
অপর ম্যাচে রাউল হিমেনেসের গোলে ১১ মিনিটে ফুলহামের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েছিল আর্সেনাল। ৫২ মিনিটে তাদের সমতায় ফেরান উইলিয়াম সালিবা। কর্নার থেকে আসা বলে কাই হাভার্টজের হেড গোলমুখে পেয়ে টোকায় জালে ঠেলে দেন ফরাসি এই ডিফেন্ডার। এই ড্রতে টানা তিন জয়ের পর আবারও পয়েন্ট হারাল আর্সেনাল।