Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সেই আশা বাংলাদেশে, খুঁজছেন ডলি মন্ডলকে

ss-asha-2024_03_11
[publishpress_authors_box]

জন্মের পরপর অনাথ আশ্রমে ঠাঁই পাওয়ার পর দত্তকে ডেনমার্কে যাওয়া সেই আশা ওয়েলস বাবা-মার খোঁজে বাংলাদেশে এসেছেন। গত শনিবার ঢাকায় আসার পর থেকেই নিজের পরিবারের খোঁজে বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন তিনি। খুঁজছেন ডলি মন্ডল নামে এক নারীকে।

এরই মাঝে সোমবার সন্ধ্যায় জীবনসঙ্গী মোগান ফককে নিয়ে ঘুরে গেলেন সকাল সন্ধ্যা কার্যালয়ে। এসময় তাকে নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সকাল সন্ধ্যাকে ধন্যবাদ জানান আশা।

জন্মের পরপরই আশার ঠাঁই হয়েছিল খুলনার সোনাডাঙ্গার এক অনাথ আশ্রমে। এর কয়েকদিন পর তার জায়গা হয় ঢাকার আরেক এতিমখানায়। সেখান থেকে ১৯৭৬ সালে তাকে দত্তক নেয় ডেনমার্কের একটি পরিবার। ১৯৭৬ সালের ওই ঘটনার পর থেকে ডেনমার্কেই কাটছে আশার জীবন।

ইসলামপুরের মিশনারীস অব চ্যারিটি শিশু ভবনে আশা

মাঝে একবার বাংলাদেশে এসেও স্বজনদের সন্ধান না পেয়ে ফিরে যান আশা। সঙ্গী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে এখন তার সংসার। কিন্তু জানেন না নিজের নামটা কে রেখেছিলেন সেকথাও। বছরের পর বছর এই কষ্ট চাপা দিয়ে রাখলেও এখন আর পারছেন না। তাই নিজের পরিবারের সন্ধানে বাংলাদেশে আসা তার।

ডলি মন্ডল নামে একজন আশাকে এতিমখানায় রেখে গেছিলেন

পরিবারের সন্ধান করতে আশাকে সহায়তা করছেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসেলে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক শিক্ষক ড. আবুল হাসনাত মিল্টন।

তিনি জানান, মেয়েটার জন্ম খুলনায়, সম্ভবত ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সেই হিসাবে তার বর্তমান বয়স প্রায় ৫০ বছর। কেউ একজন তার নাম রেখেছিলেন আশা। আশা লোকমুখে শুনেছে, ১৯৭৪ বা ৭৫ সালের মে মাসে তাকে সোনাডাঙ্গা মেইন রোডের ‘নির্মল হৃদয় শিশু ভবনে’ রেখে আসা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকার ইসলামপুর রোডের আমপট্টি এলাকার এক এতিমখানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে আশাকে দত্তক নেয় ডেনমার্কের একটি পরিবার। তারপর ১৯৭৬ সালের ১৮ অক্টোবর ওই পরিবারের সঙ্গে ডেনমার্কে চলে যায়। সেই থেকে আশা ওয়েলস নামে ডেনমার্কেই বাস করছেন।

সকাল সন্ধ্যাকে আশা বলেন, “ঢাকায় আসার পর গতকাল রবিবার ইসলামপুর রোডের মিশনারীস অব চ্যারিটি শিশু ভবন এতিমখানায় গিয়েছিলাম আমরা। সেখানকার রেজিস্ট্রার খাতায় আমার নামও পেয়েছি। জানতে পেরেছি ডলি মন্ডল নামে এক নারী আমাকে খুলনার অনাথ আশ্রমে রেখে গেছেন। সেখান থেকে আমাকে ঢাকার ইসলামপুরে স্থানান্তর করা হয়। আমি এখন ডলিকে খুঁজে বের করতে চাই।”

ইসলামপুরের ওই এতিমখানায় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান আশা। তাদের হাতে তুলে দেন ডেনমার্ক থেকে আনা খেলনা। আশার স্বামী মোগান ফক বলেন, আশার পরিবারের খোঁজে আমরা বুধবার খুলনায় যাব। তবে তার আগে মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে কথা বলব আমরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত