ব্যাপারটা একরকম বিমানে আনন্দভ্রমনের মতো। এক বিমানে গিয়েছেন অপর বিমানে ফিরে এসছেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় লিগে খেলা মুক্তার আলি, অলক কাপালি, নাঈম ইসলাম, ইলিয়াস সানিসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ ক্রিকেটার এই অবস্থায় পড়েছেন। আছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও।
সোমবার থেকে ভারতের রাজস্থানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়ান লিজেন্ডস লিগ নামের একটি টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশ টাইগার্স নামে ওই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য গিয়েছিলেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেটাররা। কিন্তু এই লিগটি আইসিসি বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের স্বীকৃত নয়। স্বাভাবিক ভাবে বিসিবিও ক্রিকেটারদের এমন লিগে খেলার ছাড়পত্র দেয়নি।
বিসিবিকে একরকম না জানিয়েই খেলতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যার দিকে ব্যাপারটি জানাজানি হলে বিসিবি থেকেই নোটিশ পাঠিয়ে ক্রিকেটারদের এশিয়ান লিজেন্ডস লিগে না খেলার ব্যাপারে কড়া বার্তা জানায়।
ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন সে কথাই শোনালেন, “এই লিগে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আমরা নোটিশ দিয়েছি। ওরা সেখানে খেলতে পারবে না।”
বিসিবির পক্ষ থেকে কড়া বার্তা পেয়ে বিসিবির টুর্নামেন্টে এখনও খেলেন এমন ক্রিকেটাররা দেশে ফেরার বিমান ধরেছেন বলে সকাল সন্ধ্যা জানতে পেরেছে। এমনকি সোমবার সাড়ে ৬টায় ভারত রয়্যালসের বিপক্ষে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ টাইগার্সের। ওই ম্যাচটি মাঠে গড়ায়নি।
ভারত থেকে মুঠোফোন বার্তায় অলক কাপালি জানিয়েছেন, “আমরা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ডিপিএলে অলক ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে খেলছেন। পারটেক্সের হয়ে খেলা মোক্তার আলিকে ক্লাব থেকেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
পারটেক্স ক্লাবের সেক্রেটারি সাজ্জাদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেছেন, “আমরা তাকে ছাড়পত্র দিইনি। সে যে আমাদের এখানে খেলবে না, সেখানে গেছে, এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। আরেক ক্রিকেটারের ফেসবুক পোস্টে একটি ছবিতে দেখলাম যে মোক্তার সেখানে খেলতে গেছে।”
এর আগে বোর্ডের চুক্তি ভেঙে ভারতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইসিএল) খেলতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন ওই সময়ে জাতীয় দলে খেলা বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।