Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

ববির পরামর্শক? যা বললেন আসিফ সালেহ

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।
[publishpress_authors_box]

একটি সংবাদপত্রে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের পরামর্শকদের তালিকায় নিজের নাম দেখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ।

তিনি বলেছেন, ববির পরামর্শক তিনি কখনও ছিলেন না, তার সঙ্গে সিআরআইর কোনও সম্পৃক্ততাও নেই।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়াদ মুজিব সিদ্দিক আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি। তার সম্পাদনায় বের হয় ‘হোয়াইট বোর্ড’ নামে একটি সাময়িকী।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট যে স্থাপনাগুলো আক্রান্ত হয়েছিল তার মধ্যে ঢাকার ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরও রয়েছে, সেখানে থাকা সিআরআইর কার্যালয়ও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

২৬ আগস্ট দৈনিক বণিক বার্তায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিআরআই আওয়ামী লীগের বুদ্ধিবৃত্তিক নীতিকৌশল প্রণয়নে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধী দলেরও বিভিন্ন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। বিরোধী মত দমনে অপপ্রচার, গুজব ও ভুয়া খবর ছড়ানোরও অভিযোগ রয়েছে এর বিরুদ্ধে।

সিআরআইর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসাবে এর প্রকাশনা হোয়াইট বোর্ডের পরামর্শক পদে থাকাদের নাম উল্লেখ করা হয় বণিক বার্তার সেই প্রতিবেদনে। ‘রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার পরামর্শক পর্ষদ’ শিরোনামের এই প্রতিবেদনে আসিফ সালেহর নামও রয়েছে।

প্রতিবেদনটি দেখার পর আসিফ সালেহ ফেইসবুকে এক পোস্টে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। এভাবে বক্তব্য দেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি লিখেছেন, “এই লেখা ছাপানোর আগে আমার সঙ্গে পত্রিকার (বণিক বার্তা) পক্ষ থেকে কোন প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি। সেকারণে এখানে এই বিভ্রান্তিকর শিরোনামটির ক্ল্যারিফিকেশন দেয়া প্রয়োজন।”

“আমি রাদওয়ান সিদ্দিকের কোন পরামর্শক পরিষদের সদস্য নই”- বলার পর আসিফ সালেহ হোয়াইট বোর্ডের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা কতটুকু ছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

“আমাকে ২০২০ সালের শেষে পলিসি ম্যাগাজিন Whiteboard এর Editorial advisory board-এ যোগ দিতে আমন্ত্রণ করা হয় সামাজিক সেক্টরের প্রতিনিধি হিসেবে। সম্পূর্ণ নির্দলীয় একটি ভূমিকায় পলিসি বিষয়ে engagement-এর অংশ হিসেবে আমি আমন্ত্রণ গ্রহণ করি এবং এর অংশ হিসেবে পরবর্তী সময়ে আমি জলবায়ু পরিবর্তনে সরকার এবং বেসরকারি সংগঠনের ভূমিকার ওপর একটি লেখা দিই।

“এই বোর্ডে বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিত্বকারী পেশাজীবী ও একডেমিকদের ভূমিকা ছিল মূলত ম্যাগাজিনের বিষয় নির্বাচনে মন্তব্য দেওয়া। এর বাইরে সেখানে আমার আর কোনও ভূমিকা ছিলে না।”

“পাশাপাশি এটাও পরিষ্কার করে রাখা প্রয়োজন, CRI-এর অন্য কোনও কাজের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিলে না,” বলেছেন আসিফ সালেহ।

২০১৯ সাল থেকে ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন আসিফ সালেহ। ২০১১ সালে সংস্থাটিতে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ, ইনফরমেশন টেকনোলজি, কমিউনিকেশন এবং সোশ্যাল ইনোভেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন।

কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রিধারী আসিফ সালেহ পরে এমবিএ করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির স্টার্ন স্কুল অব বিজনেস থেকে।

মার্চেন্ট ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকসে ১২ বছর কাজ করেছিলেন আসিফ সালেহ। গ্ল্যাক্সো ওয়েলকাম, আইবিএম এবং নরটেলের সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচির একজন নীতি বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত