বছরের শেষে এসে কাজাখস্তানে বিমান দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই আরেকটি দুর্ঘটনা দেখল বিশ্ববাসী। এবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিধ্বস্ত হয়েছে একটি উড়োজাহাজ। তাতে নিহত হয়েছে অন্তত ৯৬ জন।
জেজু এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি রবিবার সকালে দেশটির দক্ষিণ জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বলে আন্তর্জাতিক সব সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা ফ্লাইটটিতে ১৭৫ জন যাত্রী ও ৬ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ৪৮ জন নারী এবং ৪৭ জন পুরুষ ও একটি শিশুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার অগ্নি নির্বাপন বিভাগ।
বিবিসি ও সিএনএন জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছিল। সেসময় হঠাৎ এটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং একটি দেয়ালে সজোরে ধাক্কা খায়। সঙ্গে সঙ্গে এতে আগুন ধরে যায়।
ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত জীবিত অবস্থায় দুজন যাত্রীকে উদ্ধারের খবর জানিয়েছে অগ্নি নির্বাপন বিভাগ। ধারণা করা হচ্ছে, বিমানটির বাকি আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উড়োজাহাজে পাখি আটকে পড়ার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
মুয়ান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান লি জিয়ং-হুয়ান বলেছেন, পাখির আঘাত ও প্রতিকূল আবহাওয়া দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দেখছেন তারা। তবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “উড়োজাহাজের লেজের অংশ অক্ষত দেখাচ্ছে, কিন্তু বাকি অংশ এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে চেনার উপায় নেই।”
এদিকে, দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে জেজু এয়ার কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ কোরিয়ার এই বিমান সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, “মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সবার কাছে মাথা নত করে ক্ষমা চাইছে জেজু এয়ার। এই ঘটনায় আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। মানুষকে কষ্ট দেওয়ায় আমরা দুঃখিত।”