জন্মদিনটা স্মরণীয় হয়নি ট্রাভিস হেডের। জাসপ্রিত বুমরার বলে ১ রানেই স্কয়ার লেগে নীতীশ কুমরাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়ানে। এই উইকেটে রেকর্ড গড়লেন বুমরা। এটা টেস্টে তার ২০০তম উইকেট।
৪৪ টেস্টে বুমরা ২০০ উইকেট নিলেন মাত্র ১৯.৫৬ গড়ে। এত কম গড়ে টেস্টে ২০০ উইকেট নেই আর কারও। দুই শ উইকেট নিতে পারেননি। রেকর্ডটা আগে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ম্যালকম মার্শালের। তিনি ২০০ উইকেট নিয়েছিলেন ২০.৯ গড়ে।
শুধু হেডকে ফিরিয়েই থামেননি বুমরা। মেলবোর্ন টেস্টের চতুর্থ দিন এরপর ১০ বলের মধ্যে ফিরিয়েছেন মিচেল মার্শ (০) ও অ্যালেক্স ক্যারিকেও (১)। তাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৮০ থেকে ৬ উইকেটে ৯১ রানে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া।
৬০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৮ উইকেটে ১৬১। বুমরা ৪টি, মোহাম্মদ সিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার লিড ২৬৬ রানের। মার্নাস লাবুশানে করেন সবচেয়ে বেশি ৭০ রান। প্রথম ইনিংসে ঝড় তোলা স্যাম কনস্টাস ৮ রানে বোল্ড হন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান স্টিভেন স্মিথ স্মিথও ১৩ রানে ফেরেন সিরাজের বলে।
এর আগে ৯ উইকেটে ৩৫৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা ভারত অলআউট হয় ৩৬৯ রানে। ১১৯তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের ব্যাট ছুঁয়ে বল গিয়েছিল স্মিথের হাতে। ক্যাচ হয়েছে কিনা জানতে মাঠের আম্পায়ার মাইকেল গফ সহযোগিতা চান তৃতীয় আম্পায়ার বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের।
বল মাটিতে ড্রপ করেছে কি না এটা রিপ্লেতে কেবল দুবার দেখে শরফুদ্দৌলা জানান নটআউট। এটাই মানতে না পেরে রিভিউ চেয়ে বসেন ক্ষুব্ধ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স! মাঠের দুই আম্পায়ার অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেন সেই আপিল।
ধারাভাষ্যকক্ষে তখন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলছিলেন, ‘‘বিস্ময়কর, এমন কিছু আমি আগে দেখিনি। আম্পায়ার সিদ্ধান্তের জন্য এটিকে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠাচ্ছেন। অথচ কামিন্স রিভিউ নিতে চায়! আমার মনে হয় এটি (রিপ্লে) আরও গভীরভাবে দেখা উচিত ছিল।’’
ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীও বলেন একই কথা, ‘‘সিদ্ধান্ত খুব দ্রুতই নেওয়া হয়েছে, খুবই দ্রুত। রিপ্লে দেখা হয়েছে মাত্র দুবার।’’
এর ৩ বল পরই অবশ্য অলআউট হয়ে যায় ভারত। নীতীশ কুমার ১১৪ রান করে নাথান লায়নের বলে ক্যাচ দেন স্মিথকে।