২৫ বছরেও বাংলাদেশ টেস্টের বড় কোন শক্তি হয়ে উঠেনি। দেশে বা বিদেশে কালে ভদ্রেই টেস্ট জেতে বাংলাদেশ। সেই দলকে ২০০৬ সালে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এটা ছিল এশিয়ার মাটিতে অন্তত ২ টেস্টের সিরিজে কোন দলকে অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ ধবলধোলাই করার নজির।
১৯ বছর পর আবারও সেই কীর্তি গড়ল স্টিভেন স্মিথের দল। গলে শ্রীলঙ্কাকে তারা হারিয়েছে ৯ উইকেটে। তাতে সিরিজ জিতেছে ২-০’তে। এটা ২০১১ সাল বা ১৪ বছর পর শ্রীলঙ্কায় প্রথম সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার। তবে এশিয়ার মাটিতে তারা কোন প্রতিপক্ষকে প্রথম হোয়াইটওয়াশ করল ২০০৬ সালের পর। সেবার বাংলাদেশকে তারা হারিয়েছিল ২-০’তে।
সবমিলিয়ে এশিয়ায় চারবার প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমটি ২০০২ সালে পাকিস্তানকে ৩-০’তে আর ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কাকে ৩-০’তে। এরপরই ২০০৬ সালে বাংলাদেশ আর আজ শ্রীলঙ্কাকে ২-০’তে।
এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুইয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৬৭.৫৪ শতাংশ। শীর্ষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৬৯.৪৪ শতাংশ। টানা দ্বিতীয় শিরোপার জন্য প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ফাইনালে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের বদলে প্রোটিয়াদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন গলে আসা দর্শকরাই! কয়েক জনের হাতে প্ল্যাকার্ড লেখা ছিল, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকা এবার তোমাদের পালা।’’
তৃতীয় দিন শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ২১১ করার পর টেস্টের ফল নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল একপ্রকার। আজ (রবিবার) শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ২৩১ রানে। ৪টি করে উইকেট নাথান লায়ন ও ম্যাথু কুনেমানের।
জয়ের জন্য কেবল ৭৫ রানই দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার যা ১ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে যায় তারা। এটা ছিল দিমুথ করুণারত্নের শততম ও বিদায়ী টেস্ট। হার নিশ্চিত দেখে লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা বল তুলে দিয়েছিলেন করুণারত্নের হাতে। তার ৪ বলেই শেষ হয় ম্যাচটা।
বিদায়ী ম্যাচে আবেগি করুণারত্নে বললেন, ‘‘এটা আমার জন্য আবেগের। ১০০ টেস্ট আর ১০ হাজার রানের স্বপ্ন দেখতাম। শততম টেস্টে বিদায় লতে পারাটা বিশেষ কিছু (রান করেছেন ৭২২২)।’’
এই টেস্টে ২০০ ক্যাচের রেকর্ড গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। উইকেটরক্ষক ছাড়া এটা অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে সর্বোচ্চ। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ২১০ টেস্টের রেকর্ডটা রাহুল দ্রাবিড়ের।