নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নেই। পেস বোলিং আক্রমণে তার দুই সঙ্গী মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউডও ছিটকে গেছেন। দুই অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টোইনিসকেও পাচ্ছে না। নিয়মিত একাদশের এই পাঁচ ক্রিকেটারকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা এমনিতেই শোচনীয়। এর সঙ্গে যুক্ত হলো শ্রীলঙ্কা সফরের হতাশাজনক ফল। ওয়ানডেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নামতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ‘মিনি বিশ্বকাপ’খ্যাত এই প্রতিযোগিতার আয়োজক পাকিস্তানের কন্ডিশনের সঙ্গে মিল থাকায় শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি সেরে নিতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু দুই ওয়ানডেতেই বাজে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সফরকারীদের। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে কুশল মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৮১ রান। কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৪.২ ওভারে অলআউট হয়েছে ১০৭ রানে।
প্রথম ওয়ানডে ৪৯ রানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে অবস্থা আরও খারাপ। আগের ম্যাচে ১৬৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া স্টিভেন স্মিথরা এবার কোনোমতে ১০০ করেছে। কামিন্সের অনুপস্থিতিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ। তিনি (২৯) ছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল জশ ইংলিস (২২) ও ট্রাভিস হেড (১৮)।
শ্রীলঙ্কার দুই স্পিনার দুনিথ ভেল্লালাগে ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে কুপোকাত অস্ট্রেলিয়া। ভেল্লালাগে ৭.২ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। হাসরাঙ্গা ৭ ওভারে ২৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৩ উইকেট। আসিথা ফার্নান্ডোও নিয়েছেন ৩ উইকেট।
এর আগে কুশল মেন্ডিসের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা মাত্র ৬ রানে বিদায় নেওয়ার পর আরেক ওপেনার নিশান মাদুশকার সঙ্গে জুটি বাঁধেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেটে তারা যোগ করেন ৯৮ রান। মাদুশকা ৭০ বলে করেন ৫১ রান।
কুশল মেন্ডিস রানের চাকা সচল রেখে খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১১৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১১ বাউন্ডারিতে। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে।
লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা এই ম্যাচেও আলো ছড়িয়েছেন। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে একাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছিলেন। শেষ ওয়ানডেতে তার ব্যাট থেকে আসে হার না মানা ৭৮ রানের ইনিংস। ৬৬ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। জানিথ লিয়ানাগে ২১ বলে অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে।