শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে নেই; দলীয়ভাবে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি বা নির্দেশনাও নেই। তবে এবার ঘোষণা দিয়ে মাঠে থাকার কথা জানিয়েছে দলটি।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে তারা মাঠে নামবে ড. মুহাম্মাদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে।
মঙ্গলবার রাতে দলটির ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এবং হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই মাঠে থাকবে দলটি।
আগামী ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দাবির লিফলেট বা প্রচারপত্র বিলি করবে দলটি। ৬ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি করবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। ১৬ ফেব্রুয়ারি অবরোধ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা সর্বাত্মক ‘কঠোর’ হরতাল করবে দলটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অন্যান্য মামলা প্রত্যাহার এবং ‘প্রহসনমূলক’ বিচার বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এই বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে ‘প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষমতাচ্যুত দলটি।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারত চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসে। তখন থেকে আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
টানা দেড় দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জুলাই অভুত্থানে হত্যা-নিপীড়নের অভিযোগের একাধিক মামলাও হয়েছে। দলটির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই দেশের বাইরে, পলাতক অথবা কারাগারে রয়েছেন।
এ পরিস্থিতিতে এর আগে গত ১০ নভেম্বর রাস্তায় নামার ঘোষণা দিয়েও নামতে পারেনি আওয়ামী লীগ।
তবে নেতাকর্মীদের সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় করে তুলতে দেশের বাইরে বসেও দলের অনেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যা সোশাল মিডিয়ায় তাদের প্রচারণা থেকে বোঝা যায়।
এর মধ্যে মঙ্গল আওয়ামী লীগ হরতাল, অবরোধ, সমাবেশ ও বিক্ষোভের ডাক দিল।