Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ : শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা।
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

নানা ষড়যন্ত্রের মুখেও অবিচল থাকার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মৃত্যুভয় উপেক্ষা করেই পথ চলছেন তিনি।

রবিবার বিকালে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভায় একথা বলেন তিনি।

টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়া শেখ হাসিনা বলেন, “একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সংগঠন হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী।

“যদি সংগঠন শক্তিশালী হয় এবং দেশের গণমানুষের সমর্থন পাওয়া যায়, তাহলে যতই ষড়যন্ত্র হোক; হ্যাঁ, মৃত্যু যে কোনো সময়েই হতে পারে, সেজন্য আমি কখনই ভীত না, কখনো ভয় পাই না, পাব না। কারণ, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ।”

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, “যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।”

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করে এদেশের মানুষকে একটা উন্নত জীবন দিয়ে যাওয়াই তার ও আওয়ামী লীগের লক্ষ্য উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, যা আমরা প্রমাণ করেছি।”

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে দলকে সুসংগঠিত করতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

“সংগঠনকে শক্তিশালী করতে পারলে এবং জনগণের সমর্থন পেলে কোনও হামলা বা ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারবে না।”

দল শক্তিশালী ছিল বলেই জন্মলগ্ন থেকে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলতে পারছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সেজন্য দলকে শক্তিশালী করার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে হবে। যাতে কোনও আক্রমণ বা ষড়যন্ত্র দলকে ধ্বংস করতে না পারে এবং ফিনিক্সের মতো ছাই-ভস্ম থেকেও জেগে উঠতে পারে।”

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, “দলের ও নেতাকর্মীদের ওপর বার বার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। তাদের পরিবারগুলো কষ্ট করেছে। কিন্তু সংগঠন ধরে রেখেছে। কাজেই যেমন সংগঠন করতে হবে, তেমনি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে, সেটাই আমাদের মূল শক্তি।

“জনগণের আস্থা-বিশ্বাস, যেটা আমাদের মূল শক্তি, সেটা অর্জন করতে হবে। কারণ এই আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছি বলেই বারবার জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে।”

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, “সেজন্যই আমরা বার বার ক্ষমতায় এসেছি। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে।

“বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই এটা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”

দীর্ঘ বক্তব্যে অন্যান্য দলের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আওয়ামী লীগ ছাড়া যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা সন্ত্রাসবাদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি, দুর্নীতি করেছে। তারা জনগণের শক্তি ভুলে গিয়েছিল। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে।”

আওয়ামী লীগ ছেড়ে গিয়ে অনেক নেতা ‘ভুল করেছেন’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের শক্তি এ দেশের তৃণমূলের জনগণ এবং দলের নেতাকর্মীরা। কেউ মনে করেছেন আওয়ামী লীগে থাকলে তারাই হয়ত বড় নেতা। দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করে কেউ দল ছেড়ে গিয়ে অন্য দল করেছেন, কেউ দল গঠন করেছেন, তারা ভুল করেছেন।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সূচনা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রখর তাপ উপেক্ষা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতা, কর্মী, সমর্থকরা।

এদিন সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নানা রংয়ের পোশাক, টুপি পরে, হেড ব্যান্ড লাগিয়ে ও গামছা বেঁধে, ব্যানার-ফেস্টুন-প্ল্যাকার্ড হাতে ঢাক-ঢোল নিয়ে বাদ্যের তালে তালে, স্লোগানে স্লোগানে দলে দলে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকে দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত