ছন্দ হারিয়ে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বাবর আজম। ফিরে আসার পর এখনও বাবরসুলভ ব্যাটিং না করলেও ফিরে পাচ্ছেন নিজেকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেই যেমন করেছেন টানা তিন ফিফটি।
রবিবার ফলো অনে পড়ার পর শান মাসুদের সঙ্গে উদ্বোধনী উইকেটে বাবর গড়েন ২০৫ রানের জুটি। ফলো অন করতে নেমে যেকোনো উইকেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটাই। সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া বাবর শেষ পর্যন্ত আউট হন মার্কো ইয়ানসেনের বলে ৮১ করে।
কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি করেন বাবর। এর আগে ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের হাসান রাজাও দুবার ফিফটি করেছিলেন একই দিনে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাবর যখন ক্রিজে জমে গিয়েছেন তখনই ৩২তম ওভারে তার দিকে বল ছুড়ে মেরেছিলেন উইয়ান মুল্ডার। মুল্ডারের একটি ফুল লেংথের বলে বাবর স্ট্রেট ড্রাইভ করায় সেটা যায় বোলারের হাতে। বাবর ক্রিজ থেকে একটু বেরিয়েছিলেন বলেই হয়তো মুল্ডার বল ধরে উইকেটের দিকে ছোড়েন।
বল উইকেটের দিকে না গিয়ে বাবরের শরীরের দিকে যায়, আঘাত করে প্যাডে। এমনিতে শান্ত বাবর মেজাজ হারিয়ে এগিয়ে যান মুল্ডারের দিকে। কিছু একটা বলেন তাকে, পাল্টা মুল্ডারও বলতে থাকেন। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার এইডেন মার্করাম আর আম্পায়াররা।
বাবর আউট হলেও সেঞ্চুরি করে অপরজিত আছেন অধিনায়ক শান মাসুদ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ফলো অনে পড়ার ৫০ বা এর বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তিন।
১৯৯৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেলিম মালিক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার এড়াতে ১০২ রানে অপরাজিত থাকা শান মাসুদকে করতে হবে তেমন কিছুই।