বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে আহতদের মধ্যে তিনজন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদের মধ্যে একজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এবং দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন।
বুধবার ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ জানান, চিকিৎসাধীন দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর না হওয়ায় আবরার ফারদিনকে ছাড়া হয়নি। তাকে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
তার কোনও ঝুঁকি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, “একটু ঝামেলা আছে। তার শ্বাসকষ্ট রয়েছে। সেজন্য আরেকটু দেখতে চাচ্ছি। তবে খুব বেশিদিন থাকতে হবে না। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া যাবে।”
হাসপাতালেই কথা হয় আবরার ফারদিনের সঙ্গে।
সকাল সন্ধ্যকে তিনি বলেন, “সবাইকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিল, কেবল আমিই রয়ে গেলাম এখানে। সেদিনও আমাকে সবার শেষে উদ্ধার করা হয়েছিল। এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পাচ্ছি সবশেষে।”
অগ্নিকাণ্ডের দিন গ্রিন কোজি কটেজের ছাদে আরও অন্তত ৬০-৭০ জনের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন আবরার। সেসময় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা সবার আগে উদ্ধার করেন শিশু ও নারীদের। এরপর বয়স্ক এবং সবশেষে তরুণদের।
এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন আগুনের ঘটনায় আহত ইকবাল ও জোবায়ের।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন আলাউদ্দিন আলী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এদের দুজনেরই মেরুদণ্ডে আঘাত রয়েছে। দুজনেই উপর থেকে পড়ে আহত হয়েছেন। এখন যে অবস্থা তাতে তাদের অস্ত্রোপচার লাগতে পারে। সেই সিদ্ধান্ত হবে শনিবার।”
এই দুদিন ইকবাল ও জোবায়েরকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে জানিয়ে চিকিৎসক বলেন, এরপর বোঝা যাবে যে তাদের শরীরের কী অবস্থা। আদৌ অস্ত্রোপচার লাগবে কিনা।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামে সাততলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী এবং আট জন শিশু।