মাটিমাখা হাত, সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে পড়ছে সূর্যের আলো। প্রকৃতির মধ্যে ডুবে থাকা মন এখন জয়া আহসানের।
শীতের সবজি চাষ করছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। ফলও পেতে শুরু করেছেন। বড় বড় ফুলকপি কাটছেন নিজ হাতেই।
কাস্তে চালাচ্ছেন মুঠোভর্তি সতেজ ধনেপাতায়, হাত সত্যিই মাটিমাখা জয়ার। শালগম তুলছেন গোড়া থেকে, ঝেড়ে নিচ্ছেন শেকড়ে লেগে থাকা মাটি।
এ যেন খাঁটি কৃষককন্যা। ফেসবুকে নিজের বাগানে এমন সতেজ সবজির সাথে সময় কাটাতে কাটাতে দুই বাংলার নন্দিনী জয়া বলছেন, ‘কৃষি জীবনই সেরা’।
তাহলে, এত ফ্যান ফলোয়ার্স, লাইট ক্যামেরা অ্যাকশন, অটোগ্রাফ আর খ্যাতির জীবন প্রথম পছন্দ নয় জয়ার? মাটির গন্ধই তাকে সবচেয়ে বেশি টানে?
ওপার বাংলায় অভিনেত্রী জয়ার প্রতিদ্বন্দী এখন জয়াই। দেশে ফিরে শুটিংয়ের বাইরে তার সময় কাটে ওই ছাদবাগান কিংবা নিজের বাড়ির সামনের বাগানে।
রিলস দেখেই বোঝা যাচ্ছে শীতের সবজি চাষে বেশ প্রস্তুতি ছিল জয়ার। একদিকে কৃষক হয়ে সবজি ফলাচ্ছেন
আরেক দিকে অভিনয়ের মাধ্যমে পর্দায় নতুন নতুন চরিত্র। সৃষ্টিতেই মেতে আছেন জয়া।
সকাল সন্ধ্যাকে জয়া বলেন, “আমার যখন কাজ থাকে তখনও আমার ঘুম ভেঙে প্রথম কাজ বাগানে সময় দেয়া, গাছের যত্ন নেয়া। কাজ না থাকলেও তাই। আর আমার কোন অবসর নেই। নানা কাজ তো থাকে, শুটিংয়ে যাচ্ছি। সময়ই পাই না। সময় আমার পিছে ছুটছে, আমি দৌড়াচ্ছি, অবসর নেই।”
দেশে জয়া অভিনীতি আশফাক নিপুনের জিম্মি, পিপলু আর খানের জয়া আর শারমি, মুর্তজা আতশ জমজমের ফেরেস্তে এবং আকরাম খানের নকশী কাঁথার জমিন মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় আছে কালান্তর, ওসিডি ছাড়াও আরও বেশ কিছু সিনেমা।