বাফুফে নির্বাচনের দেড় মাসের মাথায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফএ) কমিটি। অথচ তাদের ভোটেই হয়েছিল বাফুফে নির্বাচন। তার চেয়েও মজার ব্যাপার হলো, যে মনিটরিং কমিটির সুপারিশে ওসব কমিটি বাতিল করা হয় সেই কমিটিও বিলুপ্ত হয়ে গেছে বাফুফে সভায়!
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মঞ্জুরুল আলম দুলালের নেতৃত্বাধীন ডিএফএ মনিটরিং কমিটির সুপারিশটা নিয়েই তার কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে বেশ হাস্যরসও হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।
বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় ২৯টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বাফুফের লিখিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৩৫টি জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে তদন্ত শেষে ডিএফএ মনিটরিং কমিটির সুপারিশ মেনে ২৯ টি ডিএফএ’র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বাফুফের নির্বাহী কমিটি।
মিডিয়া কমিটির প্রধান আমিরুল ইসলাম বাবু জানিয়েছেন, “৫ অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনের পর এই ২৯ জেলার অনেককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কমিটি ভেঙে দেওয়ার কারণ– অনিয়ম ও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা একটা মনিটরিং কমিটি করেছি, যেটার চেয়ারম্যান রাজবাড়ির মনজুর আলম দুলাল, উনার সাথে আরও চারজন আছেন। তারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে দেখেছেন, পর্যালোচনা করেছেন, এরপর এই সিদ্ধান্ত আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। আমরা এখানে কোনও হাত দেইনি।”
৫ আগস্টের পর বাফুফে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে জেলাগুলোর কাউন্সিলর ছিল, তারা ভোট দিয়েছেন। এখন হঠাৎ করে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যারা তদন্ত করে না পাওয়ার খবর দিয়েছে সেই মনিটরিং কমিটিকেও বিলুপ্ত করা হয়েছে বাফুফে সভায়। বিলুপ্তির কারণ নাকি ওপরের আরও কিছু নির্দেশনা ছিল যা মানেননি তারা। এই বিলুপ্তির খবরটি অবশ্য মিডিয়া কমিটির প্রধান জানাননি সংবাদ মাধ্যমে।
এদিকে এই সভায় বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেনের মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়েছে।