সবশেষ ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় উইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনেকদিন পর সফলতা আসে ক্যারিবিয়ানদের। ঘরের মাঠে সেই সাফল্যধারা ধরে রেখেছে শেই হোপের দল। সেন্ট কিটসের রেকর্ড রান তাড়ার উদাহরণ দেখিয়ে ম্যাচ জিতল উইন্ডিজ।
রবিবারের আগে সেন্ট কিটসে সর্বোচ্চ ২৬৬ রান তাড়ার ঘটনা ছিল। সেই রান অনেকটা এগিয়ে ২৯৪ অতিক্রম করে দেখিয়েছেন শেই হোপরা। বাংলাদেশের দেওয়া ২৯৫ রানের লক্ষ্য ১৪ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকেছে উইন্ডিজ।
শেরফেন রাদারফোর্ডের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়া জয় সহজ হয় উইন্ডিজের জন্য। মাত্র ৮০ বলে ১১৩ রান করেন রাদারফোর্ড। ৩৬ রান করা জাস্টিন গ্রিভসকে নিয়ে তার মাত্র ৫৭ বলে ৯৫ রানের ম্যাচ ঘুরানো জুটি উইন্ডিজের জয় সহজ করে।
আরো ছোট করে বললে ৪৭তম ওভার। রিশাদ হোসেন বা মিরাজ, স্পেশালিস্ট দুই বোলারের একটি করে ওভার বাকি থাকতেও সৌম্য সরকারকে দিয়ে দুই ওভার করান মিরাজ। প্রথম ওভারে মাত্র ৩ রান দেন এই মিডিয়াম পেসার। তবে দ্বিতীয় ওভারটিতে (৪৭ তম) রাদারফোর্ডের কাছে টানা তিন ছক্কায় মোট ২১ রান হজম করেন। সৌম্যর ওই ওভারেই ইনিংসের শেষ পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নেওয়ার সুযোগ হারায় বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি স্টাইলের এ জুটির আগে অধিনায়ক শেই হোপের সঙ্গে ৯৩ বলে ৯৯ রান যোগ করেন রাদারফোর্ড। হোপ সেঞ্চুরি মিস করে ফিরেছেন ৮৪ রানে। ম্যাচের অনেকটা সময় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও দুটি ৯০ ছাড়ানো জুটিতে ম্যাচ বের করে ফেলে ক্যারিবিয়ানরা। তাই টানা ৫ ম্যাচ পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে জয়ের মুখ দেখল উইন্ডিজ।
ওয়ানডে ফরম্যাটকে বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট বলা হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই। এই ফরম্যাটে দলটির সাফল্য এর প্রমাণ। তবে ওয়ানডেতেও যে এখন টি-টোয়েন্টির পাওয়ার হিটিং দরকার বাংলাদেশ তা টের পেল। মাহমুদউল্লাহ-জাকের নিজেদের ইনিংসের শেষদিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তা রাদারফোর্ডের মতো টানা তিন ছক্কায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ছিল না।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এমন পিচে ২৭০ রানকে নিরাপদ ভেবেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। টসে তেমন লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। কিন্তু ব্যাটাররা তাকে তিনশো ছোঁয়া স্কোর এনে দিলেও জয় নিশ্চিত হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মাথায় রেখে ওয়ানডে নিয়ে তাই নতুন চিন্তা করতে হবে বাংলাদেশকে।
ওয়ানডেতে মিরপুরে ২৫০-৭০ জয়ের স্কোর হলেও দেশের বাইরে তিনশোও এখন নিরাপদ স্কোর না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২৯৪/৬, ৫০ ওভার (তামিম ৬০, মিরাজ ৭৪, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮; শেফার্ড ৩/৫১, জোসেফ ২/৬৭)। উইন্ডিজ : ২৯৫/৫, ৪৭.৪ ওভার (রাদারফোর্ড ১১৩, হোপ ৮৬, গ্রিভস ৪১*, কেসি ২১; সৌম্য ১/২৪, রিশাদ ১/৪৯)। ফল : উইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : শেরফেন রাদারফোর্ড।
জয়ের স্বপ্ন দেখছে উইন্ডিজ
ব্যাটিংয়ের শুরুটা কঠিন ছিল উইন্ডিজের জন্য। সহজে রান আসছিল না। দুটি বড় জুটিতে শুরুর ওই ধাক্কা সামলে উঠেছে স্বাগতিকরা। ৪০ ওভার শেষে তাই জয়ের স্বপ্ন দেখছে ক্যারিয়ানরাও।
৪ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান উইন্ডিজের। শেরফেন রাদারফোর্ড অপরাজিত আছেন ৫৬ বলে ৬১ রানে। সাত চারের পাশাপাশি দুটি ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকে। রাফারফোর্ডের আগে অবশ্য উইন্ডিজ অধিনায়ক শেই হোপ এগিয়ে দিয়েছেন দলকে।
দুর্দান্ত খেললেও সেঞ্চুরি মিস করেছেন হোপ। ৮৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৬ রান তার। রাদারফোর্ডকে নিয়ে ৯৩ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েছেন। এ জুটিতে উইন্ডিজ হারের পথ থেকে ফিরে এসেছে। এর আগে ২১ রান করা কেসি কার্টিকে নিয়ে ৪২ রান যোগ করেছেন হোপ।
পঞ্চম উইকেটে ১৫ বলে ১৮ রান করা জাস্টিন গ্রিভসকে নিয়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন রাদারফোর্ড।
২০ ওভার শেষে পিছিয়ে উইন্ডিজ
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ২৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রানের গতিতে পিছিয়ে উইন্ডিজ। ২০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৮৭। এই সময় বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ১১৪।
উইন্ডিজের জয়ের স্বপ্ন এগিয়ে চলছে শেই হোপের ব্যাটে। অধিনায়ক হোপ ৩৬ রানে ব্যাট করছেন। অপরপ্রান্তে কেসি কার্টি ব্যাট করছেন ২০ রানে। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর এ জুটিতে ৬০ রান তুলেছেন দুই ব্যাটার।
বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা। দুটি উইকেটই এসেছে এলবিডব্লিউ থেকে। তানজিমের ইনসুইং বলের লাইন মিস করে দলীয় ২৭ রানে আউট হয়েছেন ৯ রান করা ব্র্যান্ডন কিং। আর নাহিদ রানার ১৫০ ছোঁয়া ডিলেভারিতে ব্যাট চালাতে দেরি করে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ১৬ রান করা ইভিন লিউইস।
তিনশো ছোঁয়া স্কোর বাংলাদেশের
উইন্ডিজে এমনিতে বড় স্কোরের মাঠ খুব কম। এশিয়ার মতো স্পিনিং কন্ডিশন বলে এই অঞ্চলে আড়াইশো রানেও ম্যাচ জেতা যায়। সেই মাঠগুলোর মধ্যে একটি সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস। এ মাঠের পিচ ব্যাটিং সহায়ক, বাউন্ডারী ছোট বলে রানও হয়। এখানে ৩০০ বা তার বেশি রান করে হারেনি কোন দল।
সেই তালিকায় বাংলাদেশও আছে। ২০১৮ সালে এই মাঠে ৬ উইকেটে ৩০১ রান করে জয়ের স্মৃতি আছে। ছয় বছর পর একই মাঠে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ। ৬ রানের জন্য জয়ের কোটা ছোঁয়া হয়নি!
অবশ্য ভয়ের কিছু নেই। সিরিজের প্রথম ম্যাচের টসে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ আগে ব্যাট করতে নেমে ২৭০ রানের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিলেন। সেখান থেকে বেশ এগিয়েই আছে বাংলাদেশের স্কোর।
শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলির ঝড়ো জুটিতে স্বস্তির রান পেয়েছে সফরকারীরা। মাত্র ৭৪ বলে ৯৬ রান তুলেছেন দুজনে। মাহমুদউল্লাহ এই মাঠে পেয়েছেন নিজের তৃতীয় ফিফটি। ৪৪ বলে অপরাজিত ৫০ তার ক্যারিয়ারের ৩০তম হাফসেঞ্চুরি।
এছাড়া এই জুটিতে রূদ্রমূর্তিতে ছিলেন জাকের আলি। ৪০ বলে ৩টি করে ছক্কা ও চারে ৪৮ রান করে শেষ ওভারে ছয়ের চেষ্টায় বাউন্ডারীতে ক্যাচ আউট হয়েছেন জাকের। এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজের ১০১ বলে ৭৪ রান ও তানজিদ হাসান তামিমের ৬০ বলে ৬০ রানে বড় স্কোরের পথ পায় বাংলাদেশ। উইন্ডিজের মাটিতে প্রথম ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন তামিম।
জাকের-মাহমুদউল্লাহর পাওয়ার হিটে আড়াইশো পার
ইনিংসের শেষদিকে পাওয়ার হিটিংয়ের দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করছেন জাকের আলি ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের মধ্যে ইনফর্ম জাকের বিধ্বংসী রূপে। ৫৬ বলে তাদের জুটি ৬৫ রান। জাকের ৩২ বলে ৩টি করে ছক্কা ও চারে করেছেন ৪২। মাহমুদউল্লাহ ২ চার ও এক ছক্কায় করেছেন ৩৫ বলে ২৯। ৪৭ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৬৫ রান বাংলাদেশের।
মিরাজের লড়াকু ইনিংস থামল ভুল শটে
অসাধারণ খেলছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। নেতৃত্বে দায়িত্ববান মাথা ছিল তার ঘাড়ে। অথচ সময়ের মনঃসংযোগহীনতায় হেরে গেলেন। অনায়াসে সেঞ্চুরি করার সুযোগটি মিস করলেন।
১০১ বলে ৭৪ রান করে জেডস সিলসকে অহেতুক বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হলেন মিরাজ। এই বলে থার্ড ম্যানের দিকে অনায়াসে গ্লান্স বা পুল করে সিঙ্গেল নিতে পারতেন মিরাজ। কিন্তু লেগ স্ট্যাম্পের কোমড় সমান উঠে আসা বলে সামনে এগিয়ে অফ সাইডে মারতে গিয়ে উইকেট হারালেন।
মিরাজের বিদায়ে ১৯৮ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ইনিংসের আর ১০ ওভারের মতো বাকি থাকায় রানের চাকা বাড়াতে চেয়েছিলেন মিরাজ। নিজে অনেকগুলো বল নষ্ট করেছেন। একটি জীবনও পেয়েছেন। তাই মিরাজের ওপর বড় রান করার চাপ ছিল। তবে আরেকটু সাবলীল হলে মিরাজের সেহ্চুরির স্বপ্ন সত্যি হতে পারতো। ভুল করায় আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেন অধিনায়ক।
তামিম-মিরাজের ব্যাটে বড় স্কোরের স্বপ্ন
অর্ধেক ওভার শেষ হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসে। এই পর্যন্ত মেহেদি হাসান মিরাজদের ভালো অবস্থান তা বলা যায়। অধিনায়ক নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলকে ভালো অবস্থানে রাখার।
২৫ ওভার শেষে মিরাজ ৬৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত। ক্যারিয়ারের পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি করে এগোচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। তার সঙ্গে বছর খানেক পর দলে ফেরা আফিফ হোসেন অপরাজিত আছেন ১১ রানে। ২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১৪৮।
এর আগে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের স্বতস্ফুর্ত ৬০ বলে ৬০ রানে ভালো স্কোরের শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তোলার পথে ৬টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তামিম।
ওপেনিংয়ে বিধ্বংসী শুরুর ভূমিকাটা ২০২৩ বিশ্বকাপ থেকেই পেয়েছিলেন এই তরুণ। নিজের সেই দায়িত্বে ধারাবাহিক সফল হতে পারেননি। তবে আজ সেন্ট কিটসে দলকে ভালো শুরু এনে দিলেন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে।
কিছুই করা হলো না সৌম্য-লিটনের
সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের অবদানের দিকে জাতীয় দল তাকিয়ে থাকে সবসময়। অথচ দলের আস্থার প্রতিদান খুব কমই দিতে পেরেছেন দুই ব্যাটার। লিটন ছন্দে ছিলেন না। কখন থাকেন তারও ঠিক নেই। তবে সৌম্য সরকারের ব্যাটে রান ছিল।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে একদিন আগেই আশিউর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। অথচ জাতীয় দলের জার্সিতে এসে আগের মতোই ব্যর্থ। শুরুটা ভালোই হয়েছিল তার। তিন চারে ১৮ বলে করেছিলেন ১৯ রান। কিন্তু অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দেওয়ার পুরোনো অভ্যাসে দারুণ শুরুর ইনিংস থেমে গেল।
ঠিক একই রকম আউট লিটনের। মাত্র ৭ বল টিকে রোমারিও শেফার্ডের আউটসুইংগারে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন লিটন। মাত্র ৪৬ রানে দুই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে হারাতে হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬১ রান সফরকারীদের।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে বেশি ব্যাটার নিয়ে নেমেছে সফরকারীরা। একাদশে চার পেসার ও একজন স্পেশালিষ্ট স্পিনার আছেন।
উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। সেই চিন্তা থেকে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছেন মিরাজ। তবে বিপক্ষ অধিনায়ক শেই হোপ টস জিতে আগে বোলিং নেওয়ার কথা জানান। একাদশে বেশি ব্যাটার থাকাতেও ব্যাটিং নেওয়া নিরাপদ মনে করে থাকতে পারেন মিরাজ।
ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বর ব্যাটার পর্যন্ত স্পেশালিস্ট ব্যাটার। জাকের আলি নামবেন সাতে। এরপর রিশাদ হোসেনও ব্যাটিং পারেন। এর আগে টপঅর্ডারে তামিম, সৌম্য, দলে ফেরা আফিফ হোসেনদের কাছ থেকে বড় কিছু চাইবে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন আফিফ। প্রায় বছর খানেক পর এই ফরম্যাটে খেলতে নামলেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম না থাকায় এই পজিশনে খেলার ব্যাটারের অনুপস্থিতি আফিফের দরজা খুলে দেয়।
বাংলাদেশ : তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা, তানজিম হাসান সাকিব।
উইন্ডিজ : ব্র্যান্ডন কিং, ইভিন লিউইস, কেসি কার্টি, শেই হোপ (অধিনায়ক), রোস্টন চেজ, শারফেন রাদারফোর্ড, জাস্টিন গ্রিভস, রোমারিও শেফার্ড, গুদাকেশ মোতি, জেডন সিলস, আলজারি জোসেফ।