ভারতে ছড়ি ঘোড়াবেন স্পিনাররা। ঘূর্ণি উইকেটে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে কিনা চেন্নাইয়ে দাপট দেখালেন বাংলাদেশের তিন পেসার। ভারতের ১০ উইকেটের ৯টিই নিলেন তারা। হাসান মাহমুদ ৫টি, তাসকিন আহমেদ ৩টি আর নাহিদ রানা নেন ১ উইকেট। ব্যাটাররা ব্যর্থ না হলে পেসারদের গড়ে দেওয়া ভিতটা কাজে লাগিয়ে চেন্নাইয়ে আরও ভালো অবস্থানে থাকতে পারত নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
১২ বছর পর
ভারতের মাটিতে টেস্টে পেসারদের এমন দাপট সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে। ১২ বছর আগে বেঙ্গালুরু টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারতের ১০ উইকেটই নিয়েছিলেন কিউই পেসাররা। এরপর চেন্নাই টেস্টে প্রথম দল হিসেবে ভারতের ১০ উইকেটের ৯টি নিলেন বাংলাদেশি পেসাররা। অথচ চেন্নাইয়ের মাঠে ১০৮ বছরের ইতিহাসে টেস্টে এক ইনিংসে ৭ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি পেসাররা। এর আগে ২০১০ সালে নাগপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা।
১০টিই ক্যাচ
ভারতের ১০ ব্যাটারই আউট হয়েছেন বাংলাদেশি ফিল্ডারদের ক্যাচ দিয়ে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো দলের ইনিংসে সব ব্যাটারের ক্যাচ আউট হওয়ার এটাই প্রথম ঘটনা। ঘরের মাঠে সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে হায়দরাবাদ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ভারতের ১০ ব্যাটারই আউট হয়েছিলেন ক্যাচ দিয়ে।
প্রথম চার ব্যাটারই বাঁহাতি
এক থেকে চার নম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের সব ব্যাটারই ছিল বাঁহাতি। টেস্ট ইতিহাসেই চার বাঁহাতি দিয়ে ব্যাটিং শুরু হয়েছে ২১ বার। এর ১৪ বারই করেছে বাংলাদেশ! শ্রীলঙ্কা ৪, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২ ও অস্ট্রেলিয়া করেছে ১ বার।
বুমরার ৪০০
১৯৬ ম্যাচ ও ২২৭ ইনিংসে ৪০০তম আন্তর্জাতিক উইকেটের মাইলফলকে পা রেখেছেন জাসপ্রিত বুমরা। ভারতের দশম বোলার ও ষষ্ঠ পেসার হিসেবে কীর্তিটা গড়লেন তিনি। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮৭ উইকেট কপিল দেবের।
বুমরার বোলিং গড় ২১.০১ যা অন্তত ৪০০ উইকেট নেওয়া পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০.২০ গড় নিয়ে সবার ওপরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০৫ উইকেট নেওয়া জোয়েল গার্নার।