টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে এই ফরম্যাট দ্রুতই ভুলতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। আগস্ট থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ব্যস্ততা শুরু। ডিসেম্বর পর্যন্ত চার সিরিজের মোট আটটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
লাল বলের ব্যস্ততায় নামার আগে দুই সপ্তাহের বিশ্রাম পাচ্ছেন বিশ্বকাপ ফেরত ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের কোচরা ফিরবেন ১৯ জুলাই। এর আগেই বিশ্রাম শেষ করে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টাইগার্স ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আসা টেস্ট দলের সদস্যদের।
কোচরা দেশে ফিরলে পাকিস্তান সিরিজ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক টেস্টের প্রস্তুতি শুরু করবে বাংলাদেশ দল। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের একটি সূত্র সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছে, “জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা, যারা সিনিয়র এবং টেস্ট দলে আছেন তারা লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে জুলাই মাসে লাল বলের প্রস্তুতি নেবেন। তিন দিনের তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন তারা।”
এছাড়া বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও এইচপি দলেরও লম্বা ব্যস্ততা থাকছে। পাকিস্তান সিরিজের আগে ‘এ’ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে ১৪ জুলাই। সেখানে পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলবে তারা। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে ১৯ থেকে ২২ ও ২৬ থেকে ২৯ জুলাই দুটি চারদিনের ম্যাচ হবে। এ মাঠেই ২০০৩ ও ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ দল।
এই সিরিজ শেষে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দলের জন্য বিবেচ্য ক্রিকেটাররা দেশে ফিরবেন। আগামী আগস্টে পাকিস্তানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজের দুই ম্যাচ মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়ার কথা আছে।
আগস্টে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ব্যস্ততা শুরু হবে এইচপি দলের। বিগ ব্যাশের কয়েকটি দলের সঙ্গে অন্তত ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে এইচপি দলের।