জয়ের পথ তৈরি হয়েছিল দারুণভাবে। ৬ বলে ১১ রান, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মোটেও কঠিন নয়। তবে বাংলাদেশ পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ৪ রানে।
বোলাররা জয়ের যে সম্ভাবনা তৈরি করে দিয়েছিলেন, সেটি কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটাররা। নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটারদের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে। এরপরও ১১৪ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়ার পথ ঠিক তৈরি করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ দিকের ভুলে ধরাশয়ী নাজমুল হোসেন শান্তরা।
টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছিল ১১৩ রান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রান করতে পারে বাংলাদেশ।
অল্প পুঁজি নিয়ে দারুণ বোলিং করেছেন প্রোটিয়া বোলাররা। শেষ ওভারের নায়ক কেশভ মহারাজ ৪ ওভারে ২৭ রানে নেন ৩ উইকেট। আনরিখ নর্কিয়া ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে পেয়েছেন ২ উইকেট। আরেক পেসার কাগিসো রাবাদার ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় শিকার ২ উইকেট।
নাটকীয় শেষ ওভার
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ সাজিয়েছিল বিশেষজ্ঞ পাঁচ বোলার নিয়ে। বাড়তি কোনও বোলার ছিল না তাদের। চার পেসারের কোটা শেষ হয়ে গেলে শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন কেশভ মহারাজ। স্পিনার থাকায় স্বাভাবিকভাবেই ৬ বলে ১১ রানের প্রয়োজনীয়তা পূরণের সম্ভাবনা জোরালো হয় বাংলাদেশের।
কিন্তু প্রোটিয়া স্পিনার চাপের মধ্যে করেছেন চমৎকার বোলিং। ওয়াইড দিয়ে ওভার শুরু করলেও তৃতীয় বলেই ফেরান জাকের আলিকে। তবু মাহমুদউল্লাহ থাকায় জয়ের আশা টিকে থাকে বাংলাদেশের।
সুযোগটা মহারাজ নিজেই করে দিয়েছিলেন, পঞ্চম বল ফুলটস করে। মাহমুদউল্লাহ লং-অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল সীমানা ছাড়া করতে পারেননি তিনি। লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়ে মাহমুদউল্লাহকে ফেরান এইডেন মারক্রাম।
ওই বলেও কোনও রান আসেনি। ফলে শেষ বলে দরকার ৬ রান। ক্রিজে আসা তাসকিন আহমেদ সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারেননি।
জাকেরের বিদায়
শেষ ওভারে জিততে দরকার ১১ রান। স্বাভাবিকভাবেই বোলারের ওপর চড়াও হতে হবে। জাকের আলি সেটি করতে গিয়েই ধরাশয়ী। কেশভ মহারাজের বলে ধরা পড়েছেন এইডেন মারক্রামের হাতে। আউট হওয়ার আগে জাকের করেন ৯ বলে ৮ রান।
হৃদয় আউট
আগের ওভারেই ফিল্ড আম্পায়ার আঙুল তুলেছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ আউট থেকে বেঁচেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে আসা কাগিসো রাবাদার বলে আর রক্ষা হলো না তাওহিদ হৃদয়ের। আম্পায়ার্স কলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেছেন এই ব্যাটার।
হৃদয় রিভিউ নিয়েছিলেন। তবে কাজ হয়নি। চমৎকার এক ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন তিনি। ৩৪ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে। ওটলিন বার্টম্যানের বল তার পায়ে লাগলে উঠে জোরালো আবেদন। ফিল্ড আম্পায়ার আঙুল তুললেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল স্টাম্পে না লেগে বেরিয়ে যাচ্ছে লেগ সাইড দিয়ে।
হৃদয়ের ছক্কা
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিলেন তাওহিদ হৃদয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও দারুণ ব্যাট করছেন। ১৪তম ওভারে কেশভ মহারাজের চতুর্থ ডেলিভারি স্লগ সুইপে মেরেছেন বিশাল ছক্কা। তার ব্যাটে লক্ষ্যের পথে ছুটছে বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ ছাড়লেন ইয়ানসেন
১২তম ওভারে পঞ্চম বলে বড় বাঁচা বাঁচলেন মাহমুদউল্লাহ। আনরিখ নর্কিয়ার শর্ট ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। বল স্লিপে থাকা মার্কো ইয়ানসেন লাফিয়ে ধরার চেষ্টা করেন। বল তার আঙুলে লাগলেও তালুতে জমাতে পারেননি। ‘জীবন’ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ ওই বল থেকে পান বাউন্ডারি।
ওপেনিয়েও ব্যর্থ শান্ত
আবারও ব্যর্থ নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। পজিশন পাল্টে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবু ভাগ্য বদলায়নি তার। বাজে শট খেলে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন তিনি। আনরিখ নর্কিয়ার শর্ট বল মেরে খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগে। ওপরে উঠে যাওয়া বল স্কয়ার লেগে সহজে তালুবন্দি করেন এইডেন মারক্রাম।
প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে শান্ত ২৩ বলে ১ ছক্কায় করেন ১৪ রান। তার বিদায়ে বাংলাদেশ হারায় চতুর্থ উইকেট।
লিটনের পর সাকিবের বিদায়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সময়োপোযোগী ইনিংস খেলেছিলেন লিটন দাস। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও ভালো ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বল হাতে নেওয়া কেশভ মহারাজের শিকার হয়ে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। এক্সট্রা কভারে ডেভিড মিলারের হাতে ধরা পড়ার আগে ১৩ বলে করেন ৯ রান।
লিটনের বিদায়ের পরপরই ফিরে গেছেন সাকিব। আনরিখ নর্কিয়ার শর্ট বল তার ব্যাটের কানায় লেগে উঠে গেছে শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন এইডেন মারক্রাম। সাকিব ৪ বলে করেন ৩ রান।
ভালো পাওয়ার প্লে কাটল বাংলাদেশের
রান তাড়ায় উইকেট বিবেচনায় ভালো পাওয়ার প্লে কেটেছে বাংলাদেশের। ৬ ওভার শেষে রান ১ উইকেটে ২৯ । এই সময়ে ৯ বলে ৯ রান করা তানজিদ হাসান তামিমকে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লে’র হিসেবে প্রোটিয়াদের চেয়ে ভালো ভাবেই এগিয়ে আছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ৬ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ছিল ৪ উইকেটে ২৫। বাংলাদেশ ১ উইকেটে করেছে ২৯।
২১ ইনিংস পর ওপেনিংয়ে শান্ত
সৌম্য সরকার একাদশে না থাকায় নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারের ওপরে তুলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এতে ২১ ইনিংস পর ব্যাটিং উদ্বোধন করলেন এই ব্যাটার। সবশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করেছিলেন তিনি।
শান্তর ওপেন করতে নামা সবশেষ ম্যাচটিও ছিল বিশ্বকাপে। পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে সেদিন ৪৮ বলে ৫৪ রান করেছিলেন শান্ত। দেড় বছর পর ওপেনিংয়ে ফেরা শান্তর ব্যাট থেকে একই রকম ইনিংস দেখা যাবে!
ডি ককের উইকেট ভালো লেগেছে তানজিমের
জবাবে উইকেট। ক্রিকেট মাঠে বোলারদের জবাবটা এভাবেই দিতে হয়। তানজিম হাসান সাকিব সেই জবাব দিয়েছেন। কুইন্টন ডি কককে বোল্ড করে নেয়া উইকেটটি তাই সবচেয়ে পছন্দের তার কাছে।
ইনিংস বিরতিতে এই পেসার বলেছেন, “আমরা দেখেছি গত তিন ম্যাচে এখানে লো স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে। তাই আমরা বেসিকে থেকে বল করেছি এবং তা কাজে দিয়েছে। আমার কাছে ভালো লেগেছে ডি ককের উইকেট। সে আমাকে ছক্কা মেরেছে আমি তার উইকেট নিয়েছি। দর্শকদের পাশে দেখতে সবসময়ই ভালো লাগে। আপনাদের ধন্যবাদ।”
বাংলাদেশের চাই ১১৪ রান
মারক্রামের টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশিই হওয়ার কথা বাংলাদেশের। প্রথমে ফিল্ডিং পাওয়ার সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। বোলিংয়ে অসাধারণ শুরু এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। তার গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে অন্য বোলাররাও দাপট দেখিয়েছেন।
সোমবার (১০ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা প্রোটিয়ারা ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছে ১১৩ রান।
রান খরচের হিসাব করলে শুধু রিশাদ হোসেন ছিলেন খরুচে। এছাড়া সবাই ছিলেন ভীষণ কৃপণ। তানজিম ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ১৯ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান কোনও উইকেট পাননি, তবে ৪ ওভারে খরচ করেছেন মোটে ১৮ রান। মাহমুদউল্লাহ ৩ ওভারে দেন ১৭ রান। সাকিব আল হাসান বোলিং করেছেন মাত্র ১ ওভার, দিয়েছেন ৬রান।
বাংলাদেশের এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে শুধুমাত্র হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার রান পেয়েছেন। ক্লাসেন করেন ৪৬ রান। আর মিলারের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
রিশাদে ঘায়েল মিলার
নেদারল্যান্ডস ম্যাচের নায়ক ডেভিড মিলার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও বিপদের সময় দলকে টেনে তুলতে ভূমিকা রেখেছেন। তবে স্লগ ওভারে মিলার ঝড় ওঠার আগেই তাকে থামালেন রিশাদ হোসেন।
এই স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন মিলার। তার বাড়তি বাউন্সে ঘায়েল প্রোটিয়া ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৯ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন রিশাদ। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩২ রান। তবে মিলারের উইকেটটি নিশ্চয় খরচের হতাশা কাটিয়ে দিয়েছে তার!
ক্লাসেনকে ফেরালেন তাসকিন
২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই জায়গা থেকে ডেভিড মিলারের সঙ্গে দলকে টেনে তোলেন হেনরিখ ক্লাসেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে আউট করেছেন তাসকিন আহমেদ।
ডানহাতি পেসারের বল উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন ক্লাসেন। কিন্তু বল-ব্যাটে না হওয়ায় ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। যাওয়ার আগে ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৪৬ রান। তাতে ভাঙে মিলারের সঙ্গে তার ৭৯ রানের জুটি।
টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিং তানজিমের
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করলেন তানজিম হাসান সাকিব। এতদিন ১৫ রানে ১ উইকেট ছিল তার সেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেলেন এই পেসার। বারুদে বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন তানজিম। প্রোটিয়াদের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়ে নেন রিজা হেনড্রিকস, কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসের উইকেট।
মোস্তাফিজের বলে মিলারের ছক্কা
১৪তম ওভারে বোলিংয়ে আসা মোস্তাফিজ আটকে রেখেছিলেন রান। তবে শেষ বলে আর রক্ষা পাননি। ডেভিড মিলার মেরেছেন দেখার মতো এক ছক্কা। শুধু পা এগিয়ে গিয়ে ব্যাটে কানেক্ট করেছেন বল। বল তার মাঝ ব্যাটে লেগে উড়ে যায় লং অফের ওপর দিয়ে।
মিলারের সঙ্গে হেনরিক ক্লাসেনের ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে প্রোটিয়াদের রান ৮৪।
মিলারকে ‘জীবন’ দিলেন লিটন
১১তম ওভারে হঠাৎই বোলিং পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। শান্তর পরিকল্পনা দারুণভাবে কাজেও লাগে। কিন্তু লিটন দাসের ব্যর্থতায় ডেভিড মিলারের মতো ব্যাটারকে আউট করা যায়নি।
মাহমুদউল্লাহর প্রথম বলেই মিলারের ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায়। কিন্তু বলের লাইনে যেতে পারেননি লিটন। বল লাগে তার পায়ে। বলটা গ্লাভসে নিতে পারলে ১৩ রানেই থামতেন মিলার।
দুর্দান্ত তানজিম
তাসকিন আহমেদ আছেন। এরপরও এবারের বিশ্বকাপে প্রথমে বল তুলে দেওয়া হচ্ছে তানজিম হাসান সাকিবের হাতে। এই পেসার আস্থার প্রতিদান দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রিজা হেনড্রিকসকে এলবিডব্লিউ করে শুরু তানজিম-ম্যাজিক। এরপর ফেরান কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টিয়ান স্টাবসকে। তার তোপে ২৩ রান তুলতে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ৪ উইকেট।
ধরাশয়ী ডি কক
টানা তিন ওভারে উইকেট পেয়েছেন তানজিম। অথচ শুরুতে তার ওপর চড়াও হয়েছিলেন ডি কক। দারুণভাবে ফিরে এসে প্রোটিয়া উইকেটকিপারকে আউট করে মধুর প্রতিশোধ সেরেছেন ডানহাতি পেসার।
Tanzim Hasan Sakib dismantles South Africa's top order with fierce bowling 🔥💪
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) June 10, 2024
Photo Credit: ICC/Getty#BCB #Cricket #BANvSA #T20WorldCup pic.twitter.com/aOs8WMbwiM
ক্লিন বোল্ড করে ডি কককে ফেরান তানজিম। যাওয়ার আগে ১১ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ রান করেন তিনি।
স্টাবসও তানজিমের শিকার
তানজিমের ম্যাজিক তখনও থামেনি। আইপিএল মাতিয়ে আসা স্টাবসকে ফিরিয়ে আনন্দের ঢেউ তোলেন নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।
শর্ট কভারে সাকিব আল হাসানের চমৎকার ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে ৫ বলে কোনও রান করতে পারেননি স্টাবস।
উইকেট উৎসবে তাসকিন
এক প্রান্ত থেকে তানজিম উইকেট তুলে নিচ্ছেন, তাসকিন আহমেদ সেই উৎসবে যোগ না দিলে কি হয়! সাম্প্রতিক সময়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই ডানহাতি পেসারও যোগ দিলেন উইকেট-আনন্দে।
Taskin Ahmed celebrates taking Markram's wicket
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) June 10, 2024
Photo Credit: ICC/Getty#BCB #Cricket #BANvSA #T20WorldCup pic.twitter.com/3Z2HiWamWL
গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন। তার চমৎকার ইনসুইং বুঝতে না পেরে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এইডেন মারক্রাম। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর বাংলাদেশের বিপক্ষেও ব্যর্থ প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৮ বলে করেছেন মাত্র ৪ রান।
তানজিমে এলো প্রথম উইকেট
প্রথম ওভারেই উইকেট উদযাপন বাংলাদেশ। শুরুতে রান খরচ করলেও ওভারের শেষ বলে উইকেট এনে দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দারুণ জয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে লক্ষ্য এবার দক্ষিণ আফ্রিকা-বধ। সেই লক্ষ্যে টস হেরে ফিল্ডিং পেয়েছে বাংলাদেশ।
একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। বাদ পড়েছেন সৌম্য সরকার। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন জাকের আলি।
টস হারলেও কাঙ্ক্ষিত বোলিং পেয়েছেন শান্ত। তার বোলিং নেওয়ার বিষয়টি অবশ্য অনুমিত। বাংলাদেশ দলের মূল শক্তিটাই বোলিংয়ে। তাই গত ম্যাচের বোলারদেরই রাখা হয়েছে একাদশে।
আগে বোলিং নেওয়ার ব্যাপারে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম বলেছেন, “আমরা আজ সকালে এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রান তাড়ার সময় এই পিচে শেষ ১০ ওভার খুব ট্রিকি হয়। তাই আমাদের মনে হয়েছে রান তাড়া করার চেয়ে এই উইকেটে আগে ব্যাট করা ভালো হবে।”
আগের দুই ম্যাচেই টস জিতে বোলিং নিয়েছিলেন মারক্রাম।
বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ : এইডেন মারক্রাম (অধিনায়ক), রিজা হেনড্রিকস, কুইন্টন ডি কক, হেনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, ট্রিস্টিয়ান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্কিয়া, ওটনিল বার্টম্যান।