২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার নাটকীয়তা বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটপ্রেমী ভোলেননি। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালেও জেতা ম্যাচ ভারতের কাছে হারের গল্পটা মুখস্থ সবার। টেস্টে উইন্ডিজকে ৪০৮ রানের টার্গেট দিয়েও না জেতার হতাশা আছে।
শুধু জাতীয় দল নয়, এই সেদিন বাংলাদেশের দল রংপুর রাইডার্স ১৯ বলে ১৩ রান নিয়ে ম্যাচ জিততে পারেনি। জেতা ম্যাচ হেরে যাওয়ার লম্বা ইতিহাস বাংলাদেশের। সেই ইতিহাসে আরেকটি পাতা যুক্ত করলো অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শ্রীলঙ্কার যুব দলের কাছে চলতি যুব এশিয়া কাপে হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচ ফসকে গেছে বাংলাদেশ যুবাদের।
ম্যাচটি সেমিফাইনাল বা নকআউট নয়। নেপালকে হারিয়ে এক ম্যাচ আগেই টুর্নামেন্টের শেষ চার নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি ছিল স্থান নির্ধারণী। জিতলে গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ চারে যাওয়া যেত। কিন্তু বাংলাদেশ যুবারা হারল সাত রানে।
২২৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ২২১ রান করে মাত্র ৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। অথচ ৩৯ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭২ রান করেছিল লাল সবুজরা। ৭ উইকেট হাতে শেষ ১১ ওভারে দরকার ৫৭ রান। ওই অবস্থা থেকে ৪০তম ওভারে হজম করতে হয় প্রথম ধাক্কা। ৯৫ রান করা কালাম সিদ্দিকি ফেরেন। একই ওভারে আউট হন রিজন হোসেন। দুই উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতিতে বড় বাধা পড়ে বাংলাদেশের।
রান রেট বেড়ে ওভারপ্রতি সাত এর দিকে চলে যায়। তবুও আধুনিক ক্রিকেটে শেষদিকে ওভারপ্রতি সাত রান কঠিন কিছু না। কিন্তু ছয় বলের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ যুব দল।
এর মধ্যে ফরিদ হাসান হয়েছেন রান আউট। আল ফাহাদ হাতে তিন ওভার থাকা সত্ত্বেও ওভারের প্রথম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। তিন উইকেটের প্রথমটি উইকেটে সেট হওয়া সামিউন বশিরের বড় শট নেওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়া।
এ তিন উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ওই অবস্থা আর কাটিয়ে ওঠা সম্ভবও ছিল না। তাই জয়ও ধরা দেয়নি।