উইকেটটা ছিল ৩০০ রানের। সেখানেই ধুঁকেছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। অলআউট মাত্র ২২৭ রানে। মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান অষ্টম উইকেটে ৯২ রানের জুটি না গড়লে স্কোরটা ২০০ করাও কঠিন ছিল।
প্রতিটা হারের পর ভুল মেনে নেওয়া আর শেখার কথা বলা অভ্যাসই হয়ে গেছে বাংলাদেশি অধিনায়কদের। ব্যাটারদের দায় দিয়ে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও মেনে নিলেন নিজেদের ভুলটা,‘‘আমরা মাঝের ওভারগুলোয় ভালো ব্যাটিং করিনি। জুটি হয়নি, একের পর এক উইকেট হারিয়েছি। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব ভালো খেলেছে তবে ভুলটা আমাদেরই। ৪ উইকেট হারানোর পরও ভেবেছিলাম ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। আমাদের স্কোরটা যথেষ্ট ছিল না। এই উইকেটে ৩০০ রানের বেশি করা দরকার ছিল।’’
বোলারদের অবশ্য প্রশংসাই করলেন মিরাজ, ‘‘প্রথম ১০ ওভারে আমরা ভালো বোলিং করেছি, বিশেষ করে আমাদের সেরা বোলার রানা। এমন উইকেটে এই স্কোর নিয়ে ম্যাচ জেতানো বোলারদের জন্য খুব কঠিন।’’
বাংলাদেশকে ১০ বছর পর কোনো ওয়ানডে সিরিজ হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজদের হোয়াইটওয়াশ করে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার পথে এগিয়ে থাকার কথাই জানালেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক শাই হোপ। কারণ আগামী বিশ্বকাপে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে ছাড়া সরাসরি খেলবে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৮টি দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে র্যাঙ্কিংয়ে দশে আর বাংলাদেশ নয় নম্বরে।
র্যাঙ্কিংয়ে তাই এগিয়ে যেতে চান শাই হোপ, ‘‘সব ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আরও পয়েন্ট তুলে নিয়ে ওপরে উঠতে চাই। নিশ্চিত করতে চাই আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা। আমরা সব সময় নিজেদের খেলা বিশ্লেষণ করি। বোলাররা যেভাবে ফিরেছে সেটা দারুণ ব্যাপার। আমরা সিরিজ জিততে পারছিলাম না, আশা করি এবার ৩-০ করতে পারব।’’
বৃহস্পতিবার একই ভেন্যুতে সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম দুই ম্যাচ হারের হতাশাটা কী পেছনে ফেলতে পারবে মিরাজের দল?