টেস্টের সাফল্যে ভরসা করে ওয়ানডেতে সাফল হয়নি বাংলাদেশ। এই ফরম্যাটে ভালো করার আত্মবিশ্বাসও কাজে লাগানো যায়নি। উইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়ায় ওয়ানডে সিরিজে একেবারে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজরা। এমন অবস্থায় টি-টোয়েন্টিতে এই দলটিকে আরামসে হারানোর স্বপ্ন দেখা “উচ্চাভিলাষ”।
সৌম্য সরকার কিন্তু সেই সাহস দেখাতে পিছপা হচ্ছেন না। এই ব্যাটার জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজকে আরামসে হারানো যাবে। অথচ ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটেই বেশি পরদর্শী। তবুও সৌম্যর সাহস দেখানোর কারণ আছে।
এই ব্যাটার জানিয়েছেন, “আমরা যদি তিনটি দিকেই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং ভালো করতে পারি, দল হিসেবে ভালো করতে পারি আমরা আশাকরি তাদেরকে আরামসে হারাতে পারবো।”
কিন্তু এখানেই পিছিয়ে থাকে বাংলাদেশ। কোন ম্যাচে এক বিভাগ জেগে উঠলে অপর বিভাগ ঘুমিয়ে যায়। উইন্ডিজে দুটি ওয়ানডেতে ব্যাটাররা ভালো করেছেন। বোর্ডে তিনশো ও তিনশো ছাড়ানো রান এনেছেন। অথচ বিশাল স্কোর পেয়েও বোলাররা দুই ম্যাচেই হতাশ করেছেন।
টি-টোয়েন্টির রসায়নটা ভিন্ন বলে আশা রাখছেন সৌম্য। গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজের সব ম্যাচ। এই মাঠে কিছুদিন আগেই রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগ জয়ের সুখস্মৃতি আছে সৌম্যর।
গায়ানার এই মাঠ বাংলাদেশের কাছে খুব পরিচিত। ২০০৯ সালে এ মাঠে বিদেশের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি ছিল। এই মাঠের পিচ স্পিন নির্ভর বলে বাংলাদেশের শক্তির জায়গাটা বেশি। সৌম্য তাই তাকিয়ে আছেন বোলারদের দিকে।
তার বিশ্বাস টি-টোয়েন্টিতে অনুকূল পিচে জ্বলে উঠবেন বোলাররা, “আমাদের বোলাররা সবসময় ভালো করে আসতেছিল এই সিরিজে হয়তো তারা একটু স্ট্রাগল করেছে। আশা করি টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা আবার নিজেদের ফর্মে ফিরবে।”
সৌম্য মুদ্রার অপর পিঠে ইতিবাচক দিক দেখছেন, “ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলেছিলাম কিন্তু শেষ দুই-একটা সিরিজ আমাদের ভালো যায়নি। তার মধ্যেও একটা ভালো জিনিস আছে আমরা ব্যাটাররা তিনশো রান করছি, এটাও একটা ভালো দিক।”
টি-টোয়েন্টি সিরিজে উইন্ডিজের সঙ্গে বাংলাদেশের শক্তির পার্থক্য কমে আসবে। তাই এ সিরিজে জয়ে চোখ রাখছেন সৌম্য, “বড় দল, ছোট দলের চেয়ে বড় কথা হচ্ছে কারা ২০ ওভার, ৪০ ওভার ভালো খেলবে মাঠে। ওইটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওরা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) টি-টোয়েন্টিতে ভালো দল। আমাদের মনোযোগ দিতে হবে নিজেদের দিকে। সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করলে ম্যাচ জিততে পারবো।”
টি-টোয়েন্টিতে জয়ের জন্য চাই ম্যাচ উইনার ও পাওয়ার হিটার। উইন্ডিজে যে শাক্তিটা ভরপুর। বাংলাদেশে খুব বেশি কেউ না থাকলেও সৌম্য-লিটন-তামিম-জাকেরদের ওপর ভরসা রাখা যায়। অবশ্য তারা যদি ধারাবাহিক পারফর্ম করেন তবেই জয় আসবে।