সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে এক বাংলাদেশি তরুণ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) বলছে, তারা জানতে পেরেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওই তরুণকে গুলি করে।
বুধবার সন্ধ্যায় গুলিবিদ্ধ ওই তরুণ প্রাণ হারানোর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় পতাকা বৈঠক করে বিজিবি ও বিএসএফ।
নিহত তরুণের নাম সাইদুল ইসলাম (২৪)। তিনি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গামাইরতলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মো. সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে ‘অবৈধভাবে’ সুপারি নিয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। সেসময় সাইদুলের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথাকাটাকাটি হয় বলে তারা শুনেছেন।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, “নিহতের বুকে ও পেটে দুটি গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে কী ধরনের বুলেট লেগেছে।”
সুনামগঞ্জে বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাইদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়েন। তখন সাইদুল গুলিবিদ্ধ হয়।
“স্থানীয় ও গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছি বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করেন। এ জন্য বৃহস্পতিবার লাউড়ের গড় সীমান্তের সাহিদাবাদ নালিকোটা বর্ডারহাটে বিজিবি ও বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।”
ভারতের সীমান্তের ২০-২৫ গজ ভেতরে ওই বাংলাদেশি তরুণ গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “তারা (বিএসএফ) নিশ্চিত করেছেন, বিএসএফ ও পুলিশের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সীমান্তে ফায়ারিং দুর্ঘটনা যাতে না হয় এজন্য তারা সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।”