চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নামার আগে বিপিএলে ব্যস্ত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের সবার টুর্নামেন্ট কেটেছে। তাওহিদ হৃদয়ের টুর্নামেন্ট কেটেছে দুই রকম।
ফরচুন বরিশালের হয়ে ধারাবাহিক রান পাচ্ছিলেন না। তবুও শান্তর মতো হৃদয়কে বেঞ্চে বসিয়ে দেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। হৃদয় পুরো টুর্নামেন্টে খেলেছেন। শুরুটা ভালো ছিল না তার। কিন্তু শেষদিকে রানে ফিরেছেন, সফল হয়েছেন। বরিশালকে ফাইনালে তোলার ম্যাচে করেছেন অপরাজিত ৮২ রান। একা হাতে জয় এনে দেন দলকে।
“বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর”- এই প্রবাদের সেরা উদাহরণ এখন হৃদয়। ফরচুন বরিশাল তার ওপর বিশ্বাস রেখেছিল বলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আত্মবিশ্বাসী ও পরিণত হৃদয়কে পেয়েছে বাংলাদেশ।
যে আত্মবিশ্বাস হৃদয়ের মনে জুগিয়েছে শক্তি। তাই দলের বিপদে দায়িত্ব নিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংস, পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
অথচ বিপিএলের আগে ফর্ম ফিরে পেতে লড়ছিলেন হৃদয়। জাতীয় দলের হয়ে আফগানিস্তান ও উইন্ডিজে সিরিজে রান পাননি। বিপিএলে তবুও সরাসরি চুক্তিতে তাকে দলে নিয়েছে বরিশাল। এরপর বিশ্বাস রেখে তাকে টানা খেলিয়েছে, সেই প্রতিদান যথাসময়ে দিয়েছেন হৃদয়।
বিপিএল শেষে নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন এক পোস্টে ফরচুন বরিশালের এই “বিশ্বাস” রাখার জন্য দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হৃদয়। সেখানে তামিম ইকবালের প্রতি আলাদা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
হৃদয় লিখেছেন, “রান না পাওয়ার আক্ষেপ আমার থেকেও আমি আমার ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে বেশী দেখেছি। তবে তার থেকে বেশী অনুপ্রেরণা দেখেছি আমার আশে-পাশের মানুষ গুলোর চোখে। Tamim Iqbal ভাই কাউকে বোঝাতে পারবো না আপনি অভিভাবক হিসেবে কতোটুকু যথার্থ। এতো প্রত্যাশা থাকার পরেও, পুরো টিমের সবাই প্রতিনিয়ত আমাকে বুঝিয়েছেন সবই স্বাভাবিক, হৃদয় রানে ফিরবেই! কৃতজ্ঞতা আমার কোচিং স্টাফ, সকল খেলোয়াড়দের প্রতি।”
সত্যিকার অর্থেই সেরা হৃদয়কে বের করে আনতে ভূমিকা রেখেছেন তামিম ইকবাল ও ফরচুন বরিশাল। এই ব্যাটারকে নির্ভার রেখে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। মিডলঅর্ডারে খেলা হৃদয় তাই সাহস নিয়ে ওপেনিং করেছেন। চেষ্টার ধারাবাহিকতায় বিপিএলে সফল হয়েছেন।
নিজেকে অন্যভাবে চিনে নিয়ে জাতীয় দলের হয়েও সফল হলেন। হৃদয়ের এই ধারাবাহিকতা থাকলে ব্যাটিং অর্ডারের ব্যর্থতা মুছে যেতে বেশি সময় লাগবে না।