চলতি বিপিএলে টানা তিন জয়ে পয়েন্ট তালিকার সবার ওপরে রংপুর রাইডার্স। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে তৃতীয় জয় পেয়েছে তারা। হারের হতাশার দিনে আরও বড় দুঃসংবাদ বরিশালের জন্য। দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য মুশফিকুর রহিম আঙ্গুলের ইনজুরিতে পড়েছেন।
বরিশালের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ১৫ ওভারেই টপকেছে রংপুর। ১৫ রানে দুই উইকেট হারালেও সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের ১১১ রানের জুটিতে সহজে জিতেছে নুরুল হাসান সোহানরা। সাইফ ৪৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ইংলিশ ব্যাটার হেলস ৪০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এ ম্যাচে রংপুরের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ইকবাল হোসেন ইমনের বলে আঙুলে চোট পান মুশফিক। ইমনের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ঠিকঠাক হাতে না আসেনি। বাম হাতের আঙুলের অনামিকায় লাগায় তাৎক্ষনিক ড্রেসিংরুমে চলে যান মুশফিক।
ম্যাচের পর মুশফিকুর বর্তমান অবস্থা জানাতে পারেনি বরিশাল। স্ক্যান রিপোর্ট নিয়ে শুক্রবার মুশফিকের ইনজুরির আপডেট জানা যাবে। অবশ্য এমন ইনজুরিতে নিশ্চিত ভাবেই সিলেট পর্বে মুশফিকের কিছু ম্যাচ মিস হচ্ছে।
অল্পতেই আটকে গেল বরিশাল
হেভিওয়েট দল, ব্যাটিং লাইনও খুব দক্ষ। তবুও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের রান হলো মাত্র ১২৪। ১০ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে তামিম ইকবালদের ইনিংস। নাহিদ রানার গতি আর নুরুল হাসান সোহানের বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বে বড় স্কোর গড়তে পারেনি বরিশাল।
আগের ম্যাচে বিশাল স্কোর তাড়া করে জিতেছিলেন তামিম ইকবালরা। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ২০০ রান করে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে। দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে সেরকম কিছু দেখাতে পারেনি বরিশাল ব্যাটাররা।
বরিশালের ব্যাটারদের দুর্বলতা বুঝে সেই বোলারদের কাজে লাগিয়েছেন সোহান। নিয়মিত বোলিং পরিবর্তন করে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের সেটেল হতে দেননি তিনি। পরিকল্পনা সফল করতে সফল বোলার ইফতিখারকেও দুই ওভারের বেশি টানেননি। যদিও ২ ওভারে ১০ রান ২ উইকেট নিয়েছিলেন।
তামিমদের ব্যর্থ করতে অবশ্য বড় অস্ত্র ছিলেন রংপুরের দুই পেসার। দুর্দান্ত গতির পাকিস্তানি আকিফ জাভেদ ও নাহিদ রানার কাছে উড়ন্ত ইনিংস বাধা পড়ে বরিশালের। তামিম ভালো শুরু পেয়েছিলেন ইনিংসের। ১৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় করেছিলেন ২৮।
তবে নাহিদ রানার ইয়র্কারে সামনে এগিয়ে মারার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। বল তার অফস্ট্যাম্পে লেগে সরাসরি ডিপ থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারীর দিকে চলে যায়। এরপর জাভেদ তাওহিদ হৃদয়কে (৪) এক বাউন্সারে পরাস্ত করেন। বড় শট নেওয়ায় সিদ্ধহস্ত কাইল মায়ার্স ১৩ রান করে ফিরলেন ইফতিখারের অফস্পিনে।
মুশফিককেও ১৫ রানে ফেরালেন অফস্পিনার ইফতি। আর মাহমুদউল্লাহ ১০ রান করে নাহিদ রানার গতির বলে রক্ষণাত্মক খেলেও বোল্ড হয়েছেন। ব্যাকফুটে খেলতে যাওয়া মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে লেগে বল স্ট্যাম্পে আঘাত করে। নিচের দিকে মোহাম্মদ নবি ১৯ বলে ২১ রান করে দলকে ১২০ পার করান। রংপুরের খুশদিল শাহ৩ ও নাহিদ রানা, ইফতি ২টি করে উইকেট নেন।