কে জানতো পুলিশ ফুটবল ক্লাবের সঙ্গেও ম্যাচটি এমন রোমাঞ্চকর হবে বসুন্ধরা কিংসের। গোল দিয়ে কখনও এগিয়ে গেছে বসুন্ধরা কিংস। ঠিক পরের মিনিটেই গোল শোধ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব।
পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বসুন্ধরা কিংস। জয়ী দলের তপু বর্মন, মিগেল দামাসেনা ও ফার্নান্দেজ করেছেন ১টি করে গোল। পুলিশের জোড়া গোল করেছেন আল আমিন।
যশোর শামস উল হুদা একাডেমি থেকে উঠে আসা এই ফুটবলারকে নিয়ে আলাদা করে বলতেই হয়। এবারের মৌসুমে এখন পর্যন্ত ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ গোল আল আমিনের। প্রিমিয়ার লিগে যৌথভাবে করেছেন ৫টি গোল। বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে মঙ্গলবার করেছেন জোড়া গোল। সব মিলিয়ে ৭ গোল করে স্থানীয় ফুটবলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
জয় পেলেও রক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে কিংসের। আগে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে বড় দলগুলোর গোল দিতেই কষ্ট হতো। এই মৌসুমে যে কোন দলই প্রতি ম্যাচে গোল দিচ্ছে বসুন্ধরা কিংসের জালে। কোচ ভ্যালেরিউ তিতার জন্য নিশ্চয় এটা মোটেও স্বস্তির নয়।
আগে বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার ছিলো ববুরবেগ। এখন ইসা ইজয়েহ। প্রার্থক্য এখানেই। দ্রুত ইসা ইজয়েহর বিকল্প খুঁজতে হবে বসুন্ধরা কিংসকে। সঙ্গে একজন নাম্বার নাইনও প্রয়োজন।
অবশ্য বিশ্বনাথ ঘোষ চোট কাটিয়ে এলে এবং সেই সঙ্গে তারিক কাজীও একাদশে ঢুকলে বসুন্ধরা কিংসের রক্ষণ নিয়ে সমস্যা হয়তো কেটে যাবে।
ম্যাচে শুরুতেই তপু বর্মণের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ৬ মিনিটে ১-০ স্কোর করে বসুন্ধরা কিংস। পরের মিনিটেই আল আমিনের গোলে ১-১ করে পুলিশ। এরপর আবারও মিগেলের গোলে ২-১ করে বসুন্ধরা কিংস। ফার্নান্দেজ আরেকটি গোল করলে ম্যাচে ৩-১ এ এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু আল আমিন দুরুহ কোণ থেকে আরেকটি দারুণ গোল করে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনে পুলিশের।
৩ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে বসুন্ধরা কিংস। ২ ম্যাচে ১ হার, ১ ড্রয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পুলিশের।