Beta
সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

জুরাইনে সড়ক-রেলপথ অবরোধ ব্যাটারি রিকশা চালকদের, সংঘর্ষ

SS-JURAIN-CLASH-221124 (3)
[publishpress_authors_box]

হাই কোর্টের আদেশের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবারও ঢাকার জুরাইনে অবরোধ করে আন্দোলনরত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।

প্যাডেল রিকশা মালিকদের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট মঙ্গলবার ঢাকায় ব্যাটারি রিকশা চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ করার আদেশ দেয়।

ওই দিনই ব্যাটারি রিকশার ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। এরপর অনেকেই কথা বলেন এই ত্রিচক্রযান বন্ধের পক্ষে, অবশ্য তার আগেই হাই কোর্টের আদেশ আসে।

আদালতের আদেশের পর বুধবার পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জে সড়কে বিক্ষোভ করে ব্যাটারি রিকশার চালকরা। পরের দিন তা অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। এতে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট।

পুলিশ এসে তাদের পথ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা সাড়া না দিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

অবরোধের কারণে সকাল ১১টার পর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু ও নারায়ণগঞ্জে রেল চলাচল বন্ধ ছিল জানিয়ে কমলাপুর স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশের কাছ থেকে নিরাপদ বার্তা পাওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে আবার ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে যান। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত আছে বলে জানান শ্যামপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

গত মে মাসে ঢাকায় ব্যাটারি রিকশা বন্ধ করতে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু চালকরা বিক্ষোভ শুরু করলে তখন সরকার পিছু হটেছিল।

সরকার পরিবর্তনের পর প্যাডেল রিকশার মালিকরা হাই কোর্টে রিট আবেদন করে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের আদেশ চেয়ে। সেই আবেদনে মঙ্গলবার হাই কোর্ট তিন দিনের মধ্যে ঢাকার ব্যাটারি রিকশার চলাচল বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়।

প্যাডেল রিকশার চালকদের দাবি, অননুমোদিত ব্যাটারি রিকশার কারণে তাদের জীবিকায় টান পড়েছে।

এদিকে আন্দোলনরত অটোরিকশার চালকরা জানিয়েছেন, উচ্চ আদালতের দেওয়া অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

রাকিব হোসেন নামে এক চালক সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মূল সড়কে না হোক, অন্তত অলিগলিতে অটোরিকশা চালকদের চলার অনুমতি দিক।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত