Beta
সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫

বঙ্গোপসাগর ঘিরে কে কী চায়, বাংলাদেশ কী করবে

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বঙ্গোপসাগর হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ।
ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বঙ্গোপসাগর হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ।
[publishpress_authors_box]

“সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা দেশ কাউকে লিজ দিলে ক্ষমতায় থাকার কোনও অসুবিধা নাই”- পতনের এক বছর আগে এই কথাটি বলেছিলেন শেখ হাসিনা। অভুত্থানে গত আগস্টে তার ক্ষমতাচ্যুতির পর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপটি আবার আলোচনায় ওঠে। তারমধ্যেই গত ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মুখ থেকে কথা আসে- “বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে।”

তাদের কথায় বঙ্গোপসাগরের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বঙ্গোপসাগর গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর কাছে। তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ চীনের কাছে। আবার আঞ্চলিক শক্তি ভারতের কাছেও গুরুত্বের। আজকের বিশ্বে পরাশক্তিগুলোর সমুদ্র দখলের যে লড়াই, তাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশ।

কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ, তা গত ২২ ডিসেম্বর বিজ ও আইডিই-জেইটিআরও’র সেমিনারে তুলে ধরেছিলেন সাবেক কূটনীতিক তৌহিদ।

তিনি বলেছিলেন, “বঙ্গোপসাগর ঐতিহাসিকভাবে সংযোগ, বাণিজ্য এবং সংস্কৃতির এক কেন্দ্রস্থল। আজও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত স্থান হিসেবে পরিচিত, যা দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করেছে। বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ, গুরুত্বপূর্ণ শিপিং রুট এবং অর্থনৈতিক একীকরণের সম্ভাবনার কারণে এটি ভূ-রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।”

ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ সেতু হিসেবে কাজ করছে। এর ফলে ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্বও দৃশ্যমান সবসময়। তবে বিশ্বশক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশকে সব সময় ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হচ্ছে।

বঙ্গোপসাগর কূলের আরেক দেশ মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধের মধ্যে বাংলাদেশ লাগোয়া রাখাইন রাজ্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি কব্জা করে নেওয়ায় ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণ আরও জটিল করে তুলেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজের সীমানা সুরক্ষিত রাখা প্রথম কাজ। কোনও শক্তির দিকে বিশেষ আনুগত্য না দেখিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে চলার দরকার বাংলাদেশের। যেকোনো সামরিক সংঘাতের বিরুদ্ধে গিয়ে এই এলাকায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য নিজেদের ভূমিকা রাখতে হবে। 

বঙ্গোপসাগর কেন গুরুত্ব চীনের

ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বঙ্গোপসাগর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। চীনের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অংশ পরিবহন জ্বালানি সম্পদের গমনপথ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলসহ বঙ্গোপসাগরকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের নৌবলয়ে অন্যতম বাণিজ্যিক পথ মালাক্কা প্রণালীর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বঙ্গোপসাগরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে পশ্চিম প্রান্তের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নানা কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে বেইজিংয়ের।

জাহাজ চলাচলের ব্যস্ত পথ বঙ্গোপসাগর।
জাহাজ চলাচলের ব্যস্ত পথ বঙ্গোপসাগর।

চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড) কৌশলে সমুদ্র পথে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, চীন ‘ওয়ান বেল্ট’ যেমন ইউরোপের সঙ্গে মধ্য এশিয়া হয়ে তার দেশের স্থল নেটওয়ার্ক স্থাপন করতে চায়, তেমনি ‘ওয়ান রোড’ নীতিতে সমুদ্রপথে েয সংযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাইছে, তাতে বঙ্গোপাগরও রয়েছে।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চীনের ‘বন্দর নীতি’ মূলত বঙ্গোপসাগর রুট ব্যবহারের মাধ্যমে কৌশলগত অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ, বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রভাব ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রবর্তিত।

এই অঞ্চলে মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কায় বন্দর করে দিচ্ছে চীন। এর মধ্য দিয়ে দেশটি সামরিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র তৈরি করছে বলে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা বলে আসছেন।

চীনের প্রভাব কমাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

বঙ্গোপসাগরসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও নৌবলয়কে প্রতিহত এবং নিজ প্রভাব বিস্তার করার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে সক্রিয়।

সেলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র আরও তিন দেশ অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতকে নিয়ে গঠন করেছে ‘কোয়াড’। চীনের ধারণা, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে তার প্রভাব খর্ব করতেই এই জোট গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র্।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রোসপারিটি’ও কৌশলও চীনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে বলেই ধারণা করা হয়।

৬০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।
৬০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর।

বাংলাদেশ এখনও কোয়াডের সদস্য না হলেও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর ভূরাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রভাব বাংলাদেশের বাণিজ্যিক নীতিগুলোর ওপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।

তাছাড়া পূর্ব চীন সাগরের তীরবর্তী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ চীন সাগরের তীরবর্তী দেশ ফিলিপিন্স ও ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিয়ন্ত্রণাধীন। চীনের শক্তিকে প্রতিহত ও কোণঠাসা করতে বঙ্গোপসাগর পাড়ের বাংলাদেশকে নিজ বলয়ে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

ভারতের অবস্থান

বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেরও বঙ্গোপসাগরের দিকে কৌশলগত দৃষ্টি নিবদ্ধ। ভারত তার আঞ্চলিক প্রভাব বজায় রাখতে বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল। চীনের কৌশলগত বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প চালু করায় ভারত এই অঞ্চলে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে চায়। ভারত চায় বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভর করে ব্লু ইকোনমি ও সিল্ক রুট পুনরুজ্জীবিত করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য রুটে আধিপত্য বিস্তার করতে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কেননা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে নিজ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে চায় ভারত।

বঙ্গোপসাগরে সমীকরণ

পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনীতির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী আন্তঃদেশীয় সম্পর্কের হিসাব-নিকাশের সমীকরণ ক্রমে জটিল হচ্ছে।

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চীন বাংলাদেশকে তার কাছে বৃহত্তম ঋণগ্রহীতা হিসেবে গড়ে তুলেছে। সমুদ্রবন্দরসহ অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং অর্থায়নে চলা প্রকল্পে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা গ্রহণে রয়েছে চীনের কূটনৈতিক তৎপরতা। যা কখনোই ভালো চোখে নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত।

বঙ্গোপসাগর ঘিরে বা কাছাকাছি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে থাইল্যান্ডের সঙ্গে চীনের মৈত্রী দীর্ঘদিনের আবার মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সখ্য আছে। অন্যদিকে মিয়ানমারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে।

বঙ্গোপসাগর ভারতের জন্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ব্রিটেনের কাছ থেকে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কর্তৃত্ব পাওয়ার পর থেকেই ওই অঞ্চলকে আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। দেশটির একটি যৌথ কমান্ড কাজ করছে সেখানে। কারণ এটি মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম দিকের অংশ, যেখান দিয়ে চীনের জাহাজ চলাচল করে এবং দেশটির মোট বাণিজ্যের বড় অংশই এ পথে হয়। যে কারণে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নজরদারি করে আসছে।

মূলত চীন সাগর থেকে বের হয়ে এসে ভারত মহাসাগরে আসতে হলে মালাক্কা ছাড়া উপায় নেই। এর দক্ষিণে সিঙ্গাপুর। আরেকটু দক্ষিণে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। এসব বিষয় বিবেচনা করে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্র একটি ঘাঁটি তৈরি করেছে ২০০৮ সালে। মূলত চীনের কারণে মালাক্কা প্রণালীর নিয়ন্ত্রণ হারানোর ভয় থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এটি করেছে।

বঙ্গোসাগরে রয়েছে বিভিন্ন দেশের বন্দর।

কী করবে বাংলাদেশ

বঙ্গোপসাগর নিয়ে পরাশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ কী করবে- এই প্রশ্নে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলছেন, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর বিকল্প নেই।

বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে গঠিত নাগরিক কমিটি তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

আনু মুহাম্মদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “অন্য কোনও দেশের সাথে মিলে বা তাদের দিকে ঝুঁকে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাদের কাউকে বঙ্গোপসাগরে জায়গা দেওয়াও উচিৎ হবে না।

“একই সাথে কাউকে বাড়তি সুযোগ দেওয়া একদমই উচিত হবে না। একটি শক্তির সাথে করলে অন্য শক্তিগুলোর সাথে বৈরিতা দেখা দেবে। এতে পুরো বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে।”

পরাশক্তিগুলোর সমীকরণ নিয়ে অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, “এখানে আমেরিকা, ভারত বা চীনের কিছু কিছু জায়গায় নিজেদের মধ্যে ঐক্য আছে, আবার কিছু কিছু জায়গায় বিরোধ আছে। সেগুলোর মধ্যে তো আমাদের জড়ানোর দরকার নেই।”

নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানা আগে নিরাপদ রাখার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এই এলাকায় আমি যেন স্বাধীনভাবে আমার কার্যক্রম চালাতে পারি, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।”

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে কারও প্রতি ঝুঁকে পড়া যাবে না। জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখে এগোতে হবে।

“আমাদের আগে নির্ধারণ করতে হবে যে আমাদের জাতীয় স্বার্থগুলো কী? জলে, স্থলে হোক কিংবা কৌশলগত হোক যাই হোক, সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। তারপর সেগুলো আমরা কীভাবে আমাদের ঘরে তুলতে পারি, সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। এই কাজগুলো করতে গেলেই বাংলাদেশ বুঝতে পারবে, কার সাথে কতটুকু বন্ধুত্ব করতে হবে, কতটুকু ছাড় দিবেন এবং কতটুকু ঘরে নিয়ে আসবেন।”

নাঈম আশফাক বলেন, “বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান বুঝতে হবে। বাংলাদেশ বিশ্বের বড় কোনও পরাশক্তি কিংবা আঞ্চলিক শক্তিও না। এই ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। এসব অবস্থা বুঝেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

যেকোনো ধরনের সামরিক সংঘাত থেকে দূরে থাকার ওপর জোর দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবির।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা কোনও ধরনের সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেতে আগ্রহী নই। একইসাথে এরকম কোনও পরিবেশ তৈরি হলে, তা নিরসনের জন্য আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”

অর্থনৈতিক স্বার্থকে মূখ্য রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশে বাণিজ্য বাড়ছে। এই অঞ্চলটা যেন ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনৈতিক জায়গায় সবার জন্য মুক্ত থাকে, তা আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে। এ ধরনের অবস্থানকেই আমাদের সমর্থন দিতে হবে।

“আমাদের আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তা হলো এখানে যেন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সেটা নিশ্চিতে আমাদের যদি কোনও ভূমিকা রাখার থাকে, তাহলে আমরা যেন সেটা নিশ্চিত করি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত