ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলা পরিচালনার জন্য ২০ জন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
রবিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বিভাগ এ সংক্রান্ত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন– ঢাকা আইনজীবী সমিতির বিএনপি দলীয় সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. বোরহান উদ্দিন, ফরহাদ নিয়ন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মোসাম্মৎ রোভানা নাসরিন শেফালী, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. শফিউল বশর সজল, গোলাম মোক্তাদির উজ্জ্বল, হান্নান ভূইয়া, মো. আব্দুল লতিফ, মো. মেহেদী হাসান জুয়েল, মো. হেলাল উদ্দিন, গাজী মাশকুরুল আলম সৌরভ, মো. জিল্লুর রহমান, মাহফুজার রহমান ইলিয়াস, মো. মিজানুর রহমান চৌধুরী, মো. মেহেবুব হোসেন, মো. মিজানুর রহমান শিহাব, মো. খুরশিদ আলম ও আজগর হোছাইন।
এদের মধ্যে বোরহান উদ্দিন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও পরের দুইজন ডেপুটি অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং বাকিরা সহকারী অ্যাটর্নি-জেনারেল পদমর্যাদা ভোগ করবেন।
নিয়োগ আদেশে বলা হয়, লালবাগ (ডিএমপি) থানার মামলা নং-৬৫, তারিখ ২৮/০২/২০০৯ হতে উদ্ধৃত বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিস্ফোরকদ্রব্য মামলা পরিচালনা করার জন্য ২০ (বিশ) জন আইনজীবীকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে উল্লেখকৃত পদে (বর্ণিত পদমর্যাদা, প্রাপ্য রিটেইনার ফি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ) নিয়োগ করা হলো।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।
বিডিআরের সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনীটির নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়। পরিবর্তন আনা হয় তাদের পোশাকেও।
বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।