Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫

৫টির বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চলের দরকার দেখছে না বেজা

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
[publishpress_authors_box]

আওয়ামী লীগ সরকারের ২০৪১ সাল নাগাদ ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের ভিশন ছিল। সেই লক্ষ্যে সারাদেশে জমি অধিগ্রহণও করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে মাত্র পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিডার মাল্টিপারপাস হলে মঙ্গলবার অগ্রগতি ও পরিকল্পনা বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, আগামী ১০ বছরে ১০টি তৈরি করা গেলে তা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট হবে।

তিনি বলেন, সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কথা ছিল বেজার। তবে আপাতত সরকারি পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ করবে সংস্থাটি, যা আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হবে। এগুলো হলো– জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট (সিলেট) অর্থনৈতিক অঞ্চল, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহেশখালীর অর্থনৈতিক অঞ্চল ও জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

এই পাঁচ অঞ্চলে সম্পূর্ণভাবে শিল্পায়ন হলে এবং পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হলে বাকি অঞ্চলগুলোতে কাজ শুরু করা হবে জানিয়ে আশিক মাহমুদ বলেন, যেসব এলাকায় মানুষ পিছিয়ে আছে, সেখানে বেজার কাজ হচ্ছে শিল্পায়নে সহায়তা করা। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা।

তিনি বলেন, “এখনও এই পাঁচ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিতে পারিনি। তবে পরিকল্পনা করেছি, আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে এ অঞ্চলগুলোতে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা করব। এছাড়া বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য রোডম্যাপ করা হবে। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হবে।”

তবে বেসকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া কোন অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করা হবে না বলেও জানান বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে ১২২টি– এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী বছরের মধ্যে আরও ১৩৩ দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীকে বেজায় যুক্ত হবে। আশা করছি তারা ৫৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবেন। এর মাধ্যমে আড়াই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে।”

আশিক মাহমুদ বলেন, “আগামী এক বছর পাঁচটা অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমাদের মূল ফোকাস থাকলেও অন্যগুলো আমরা বাদ দিচ্ছি না বা বন্ধ করে দিচ্ছি না। আগামী ১০ বছরে যে শিল্পায়ন হবে তার জন্য এই পাঁচটা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঠিকভাবে দাঁড় করানো বেশি প্রয়োজন।”

তিনি জানান, বর্তমানে ১৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ চলছে। ১২২টি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, ৭ হাজার ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির কী হবে– এমন প্রশ্নের জবাবে আশিক মাহমুদ বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অব্যবহৃত জায়গায় সোলার পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারি (পিপিপি) মডেলে সৌরবিদ্যুত প্যানেল করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সরকারের যেসব মিল ও কারখানা লোকসানে বন্ধ রয়েছে, সেগুলোকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে রূপান্তর করারও পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ সেখানে গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত