‘আপনার চিত্রনাট্য লিখেছে কে?’
ম্যাচ শেষে জানতে চাওয়া হয়েছিল জুড বেলিংহামের কাছে। হাসতে হাসতেই বললেন, ‘‘আমি নিজে!’’ তাই হয়তো। নাহলে এর চেয়ে ভালো চিত্রনাট্য আর কী হতে পারত?
ম্যাচের তখন ৬০ সেকেন্ডেরও কম সময় বাকি। ইংল্যান্ড ১-০ গোলে পিছিয়ে স্লোভাকিয়ার সঙ্গে। তখনই বাইসাইকেল কিকে অসাধারণ গোল জুড বেলিংহামের। কাইল ওয়াকারের থ্রো থেকে বক্সের জটলায় গুয়েহির হেড চলে যায় বক্সের মাঝে থাকা বেলিংহামের কাছে। বলের উচ্চতা কাজে লাগিয়ে বাইসাইকেল কিক জালে জড়িয়ে ইংলিশ সমর্থকদের আনন্দে ভাসান বেলিংহাম।
এই গোলটা নিঃসন্দেহে এবারের ইউরোর এখন পর্যন্ত সেরা। ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন আরও এগিয়ে বললেন, ‘‘এটা আমাদের ইংলিশ ফুটবল ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা গোল। কী অসাধারণ ফুটবলার ও। আমাদের ইউরো বাঁচিয়ে রাখল বেলিংহাম।’’
গোলের পর আপত্তিকর অঙ্গভঙিতে উদযাপন করেছিলেন বেলিংহাম। বিতর্ক উস্কে না দিয়ে বেলিংহাম এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘ব্যাপারটা শুধুই কৌতুক ছিল এই ম্যাচে খেলা আমার কিছু বন্ধুর জন্য। স্লোভাকিয়া যেভাবে খেলেছে ওদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’’
ম্যাচ শেষে গ্যালারিতে থাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে যান বেলিংহাম। কাটান দারুন কিছু মুহুর্ত।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এভাবে শেষ দিকে গোল করে অনেকবার ত্রাতা হয়েছেন তিনি। তবে জাতীয় দলের হয়ে এই গোলটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানালেন কদিন আগে ২১ বছরে পা দেওয়া বেলিংহাম, ‘‘এই মানসিকতা (হার না মানা) আমি শিখেছি মাদ্রিদে। অবশ্যই সেখানে যোগ দেওয়ার পর খেলায় অনেক উন্নতি হয়েছে আমার। এই গোলটা আমার সেরা, আর ৩০ সেকেন্ড গেলে বাদ পড়তাম আমরা।’’
ইংলিশ সাবেক তারকা গ্যারি নেভিলও ভূয়সি প্রশংসা করলেন বেলিংহামের, ‘‘ও বিশেষ একজন ফুটবলার। এই গোলটা ইংল্যান্ডকে বাঁচিয়েছে হাজারো সমালোচনা থেকে। বাঁচিয়েছে ইংল্যান্ডের কোচকেও।’’