Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে যেসব সুবিধা বাড়ল

savings-certificate-060324
[publishpress_authors_box]

সরকারের রাজস্ব আয়ে ঘাটতি এবং বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ সংকট মোকাবিলায় সঞ্চপত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মতো ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা তুলে নিয়েছে।

একইসঙ্গে স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা আরও যৌক্তিক করা হয়েছে। বিদেশি মালিকানাধীন শিপিং বা এয়ার ওয়েজ কোম্পানির বিদেশস্থ অফিসে কর্মরত অনিবাসী বাংলাদেশি মেরিনার, পাইলট ও কেবিন ক্রুদের ওয়েজ আর্নার বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ওই প্রজ্ঞাপনে পেনশনপ্রাপ্তদের সুবিধার্থে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ত্রৈমাসিক মুনাফার পরিবর্তে প্রতি মাসে মুনাফা দেওয়ার বিধান করা হয়েছে। এই নির্দেশনা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমের আওতাধীন পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ করা যাবে।

অন্যদিকে, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র এবং ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক- মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফাসহ মূল বিনিয়োগকৃত অর্থ পুনঃবিনিয়োগের সুবিধা থাকবে।

ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে একবার আনীত রেমিটেন্সের অর্থ এক মেয়াদে বিনিয়োগ এবং আরও দুই মেয়াদে পুনঃবিনিয়োগ অর্থাৎ তিন মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।

ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে আনীত রেমিটেন্সের অর্থ একবার বিনিয়োগ এবং আরও চারবার পুনঃবিনিয়োগ অর্থাৎ পরপর সর্বোচ্চ পাঁচ মেয়াদে মোট ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যাবে।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে এ ধরনের বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

এর পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হারও বাড়ানোর আলোচনা হয় ওই সভায়। কেননা, কয়েক বছর আগেও ব্যাংক আমানতের চেয়ে সঞ্চয়পত্রে অনেক বেশি মুনাফা পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে মেয়াদি আমানত রেখে সঞ্চয়পত্রের তুলনায় বেশি সুদ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে টান পড়েছে।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো স্থায়ী আমানতে ৯ থেকে ১১ শতাংশ সুদ দিচ্ছে। তবে কোনও কোনও ব্যাংক ১৩ শতাংশ পর্যন্ত স্থায়ী আমানতে সুদ দিচ্ছে। অন্যদিকে, ৩ মাস মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের মুনাফা দেওয়া হচ্ছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, পূর্ণ মেয়াদে পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, ৫ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ও পেনশন সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বর্তমানে সঞ্চয় অধিদপ্তর ১১টি সঞ্চয় স্কিম পরিচালনা করছে। এসব স্কিমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ মেয়াদ শেষে ফেরত দেওয়া হয়। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে মেয়াদ শেষে বিনিয়োগ করা অর্থ বিনিয়োগকারী তুলে না নিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ হবে। একইভাবে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের বিনিয়োগও মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত