অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত এ আদেশ দেয়।
এদিন মোল্লা জালালের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে আসামির বয়স বিবেচনায় যেকোনো শর্তে জামিন প্রার্থনা করেন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেয়।
অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে গত ১ নভেম্বর সাংবাদিক নেতা মোল্লা জালাল ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন এক নারী। এরপর ৪ নভেম্বর সেগুনবাগিচা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় বলা হয়, মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে ১৭ বছর ধরে বাদীকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলেন। বাদী একজন সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেস ক্লাবে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাদে মোল্লা জালালের সঙ্গে তার পরিচয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগ থানাধীন শিল্পকলা-মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানের সামনে আসামি মোল্লা জালালের লোক রানার সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়।
তখন স্থানীয়রা মীমাংসা করে দেন। সেখানে কাজ শেষে শিল্পকলা হয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন তিনি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় হাইকোর্ট গেটের কাছে পৌঁছলে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতপরিচয় একজন লোক তার চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে তাকে গাড়িতে তুলে অজ্ঞাত বাসায় নিয়া যান। সেখানে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি চুলের মুঠি ধরে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করেন।
অন্য আসামিদের সহায়তায় আসামি মোল্লা জালাল শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বাদী চিৎকার করলে আসামি তাকে ছেড়ে দেন এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরদিন ভোর ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি গাড়িতে করে তাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রিজের কাছে রাস্তায় রেখে চলে যান। তিনি বাসায় ফিরে ছেলে ও ছেলের স্ত্রীর কাছে ঘটনার বিস্তারিত বলেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করায় বিলম্ব হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।