রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ফোরাম প্যানেল।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অদম্য অভিযাত্রায় স্মার্ট পোশাক শিল্প গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ইশতেহারে পোশাক খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি এসেছে।
বুধবার ঢাকার হলিডে ইন হোটেলে ‘সাসটেইনেবল স্মার্ট বিজিএমইএ’ শীর্ষক ইশতেহার ঘোষণা করেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইব্রাহীম।
ফোরামের ইশতেহারে এলডিসি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা ও পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি উন্নয়ন এবং জিএসপি প্লাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পোশাকশিল্পের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
একই সঙ্গে স্মার্ট বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠা, ক্রেতার জবাবদিহিতা ও পোশাকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা, নতুন বাজারের উন্নয়ন এবং নিজস্ব বিপণনব্যবস্থা গড়ে তোলার কথাও বলা হয়েছে ইশতেহারে।
আগামী ৯ মার্চ উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সংগঠনটির দ্বিবার্ষিক (২০২৪-২০২৬) নির্বাচন হবে। নির্বাচনে ফোরামের পাশাপাশি সম্মিলিত পরিষদ নামে আরেকটি প্যানেলও রয়েছে। মোট ৩৫টি পরিচালক পদে এবার এই দুই প্যানেল থেকে ৭০ জন প্রার্থী লড়বেন। নির্বাচিত পরিচালকেরা নিজেদের মধ্য থেকে সভাপতিসহ পর্ষদের অন্যান্য নেতা নির্বাচন করতে পারবেন।
এর আগে পোশাক খাতের উন্নয়নে ১৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত রবিবার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে সম্মিলিত পরিষদ।
ফোরামের ইশতেহারে বলা হয়, জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, বহু শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত ও চ্যালেঞ্জ পূরণে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে সিঙ্গেল কান্ট্রি মেলা করার উদ্যোগের কথাও বলা হয় ইশতেহারে।
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক বিজিএমইএ গড়ে তুলতে পুরো কার্যক্রমকে ইআরপিতে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়ে ইশতেহারে বলা হয়, পোশাকশিল্পের প্রতিটি কারখানার জন্য স্বল্পমূল্যে ইআরপি সার্ভিস সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পোশাক শিল্পে নানা ধরনের সংকটের কথা তুলে ধরে ফোরাম প্যানেলের লিডার ফয়সাল সামাদ বলেন, সংকট মোকাবেলায় বিজিএমইএকে শক্তিশালী করতে চান তিনি।
সব ধরনের প্রতিকূল অবস্থাকে সামাল দিয়ে অনুকূল বাণিজ্য পরিস্থিতি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখতেই বিজিএমইএর পর্ষদ নির্বাচনে ‘ফোরাম’ অংশ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফোরাম প্যানেলের হয়ে ঢাকা থেকে আরও যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন— এম সাজেদুল করিম, এম এ সালাম, কাজী মিজানুর রহমান, মো. শিহাব উদোজা চৌধুরী, ইনামুল হক খান বাবলু, মো. সোহেল, শেখ এইচ এম মোস্তাফিজ, ভিদিয়া অমৃত খান, মাশেদ আর আব্দুল্লাহ, মো. খায়ের মিয়া, শাহ রাঈদ চৌধুরী, মিজানুর রহমান, খান মনিরুল আলম, সামিহা আজীম, ওসামা তাসীর, এ এম মাহমুদুর রহমান, নাফিস উদ দৌলা, শারেক রহিম, আসিফ ইব্রাহিম, মজুমদার আরিফুর রহমান, এম সাফদার হোসেন দীপু, রুমানা রশীদ, ওয়াসিম জাকারিয়া, মাহির মান্নান ও মো. রেজওয়ান সেলিম।
চট্টগ্রাম থেকে ফোরাম প্যানেলের হয়ে নির্বাচন করছেন— সেলিম রহমান, মো. সাইফ উল্লাহ মানসুর, মো. রফিক চৌধুরী, এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, ওদুদ মোহাম্মদ চৌধুরী, বিজয় শেখর দাশ, আরশাদ উর রহমান, মোরশেদ কাদের চৌধুরী ও রিয়াজ ওয়ায়েজ।