Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
Beta
রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

‘জনরুচি গঠনেও ভূমিকা রেখেছেন খান সারওয়ার মুরশিদ’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
Picture of জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

শিক্ষা, সাহিত্য ও শিল্পের নানান ক্ষেত্রে অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদের অসামান্য অবদান ছিল। জনরুচি গঠনেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম এই সংগঠকের সাহিত্যকর্মসহ তার লেখালেখির সংকলন বের করা যায়। তাহলেই খান সারওয়ার মুরশিদকে আসল মর্যাদা ও সম্মান দেওয়া হবে।

সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খান সারওয়ার মুরশিদ জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. ফখরুল আলম।

১ জুলাই অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদের শততম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের উদ্যোগের কথা জানানো হয়।

‘উত্তরসূরী : নূরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’সহ আরও কিছু জাতীয় পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন একত্রে এই চিন্তাবিদের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে বছরের শেষ নাগাদ নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে খান সারওয়ার মুরশিদকে স্মরণ করা হবে।

এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে গত জুনে ‘খান সারওয়ার মুরশিদ জন্মশতবর্ষ জাতীয় উদযাপন কমিটি’ গঠিত হয়।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা একটা খারাপ সময় অতিক্রম করছি, যখন সংস্কৃতির শক্তি ক্রমশই ক্ষয় হচ্ছে, মুক্তবুদ্ধি চর্চার অনেক প্রতিপক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে।”

অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদের শততম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের উদ্যোগের কথা জানানো হয়। ছবি : সংগৃহীত

তিনি বলেন, “সংস্কৃতি ও রুচিগত নৈরাজ্যের কবলে পড়েছে দেশ, যখন শিক্ষার মান ক্রমাগত নামছে এবং একেবারেই মুখস্থবিদ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাকরি পাওয়াটা একজন শিক্ষার্থীর জীবনের প্রধান ইচ্ছা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের অবস্থা কোনও জাতির জন্য ভালো ইঙ্গিত দেয় না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের শিক্ষা জীবনের সময়ের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা যে সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তখন খান সারওয়ার মুরশিদের মতো শিক্ষক ছিলেন। যার কাছ থেকে জীবনবোধ শিখেছি। তিনি পরিচ্ছন্ন মানুষ ছিলেন। তার চিন্তায়ও সেটি পরিলক্ষিত হতো। শিক্ষক হিসেবে তিনি শুধু দায়িত্ব পালন করেছেন এমন নয়, জনরুচি গঠনেও দায়িত্ব পালন করেছেন।”

‘উত্তরসূরি : নূরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র প্রধান শারমীন মুরশিদ বলেন, “খান সারওয়ার মুরশিদ আমার বাবা। তার জন্মশতবর্ষ উদযাপন হবে। তাকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে সেই প্রজন্মকে স্মরণ করি। তার এবং তার প্রজন্মের প্রাসঙ্গিকতা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে এই প্রজন্ম যেন জানতে পারে তাদের প্রজন্ম কেমন ছিল। আগামী দিনের সমাজ গঠনে তাদের মূল্যবোধ নিয়ে যেন আগাতে পারি।”

আরও বক্তব্য দেন সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. পারভীন হাসান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

খান সারওয়ার মুরশিদের জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গঠিত জাতীয় কমিটিতে ২৪ জন সদস্য রয়েছেন। উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. ফখরুল আলম। এছাড়া সহ-আহ্বায়ক হিসেবে ড. পারভীন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন মন্ময় জাফর।

‘উত্তরসূরি: নূরজাহান-সারওয়ার মুরশিদ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’র উত্তরা অফিস জাতীয় উদযাপন কমিটির সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে বলে জানায় উদযাপন কমিটি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত