ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে সাতটি বুথফেরত জরিপ আভাস দিয়েছিল, টানা দুবারের বিজেপি শাসনের অবসান ঘটিয়ে এবার ক্ষমতায় বসবে কংগ্রেস।
সেখানে বলা হয়েছিল, রাজ্যের ৯০টি আসনের মধ্যে ৫৫টিতে জয় পাবে কংগ্রেস। আর কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি পাবে ২৬টি। সরকার গঠন করতে হলে ৪৫টি আসনই যথেষ্ট।
কিন্তু মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, হরিয়ানার বিধানসভার ৯০টি আসনের মধ্যে ৪৯টিতে এগিয়ে বিজেপি। আর কংগ্রেস এগিয়ে ৩৫টিতে। অর্থাৎ সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ৪৫টি আসন নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দলটি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, গত শনিবার হরিয়ানায় বিধানসভার ভোটের দিন বুথফেরত জরিপের আভাস দেখে ভোট গণনার আগেই নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে বিজয় উদযাপন শুরু করে দেয় কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা।
হরিয়ানায় জয় নিয়ে তারা এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, ঢোল বাজিয়ে নাচের তালে তালে তারা জানান দেয়, দীর্ঘ ১০ বছর পর হরিয়ানায় সরকার গড়তে চলেছে তারা।
যদিও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নায়াব সিং সাইনি ভোট গণনা শুরুর পর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, আগের দুবারের মতো এবারও হরিয়ানা সরকারে বিজেপিই বসতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে রাজ্যে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ৪৫টি আসনে জয় পেয়ে নায়াব সিং সাইনি সাংবাদিকদের বলেছেন, “গত ১০ বছর রাজ্যে আমরা অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।
“হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার যে ধরনের ব্যবস্থা রাজ্যে কায়েম করে গেছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখায় হরিয়ানার মানুষ উপকার পেয়েছে। এই জনবান্ধব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব।”
হরিয়ানায় বিজেপিকে এগিয়ে থাকতে দেখে কংগ্রেসের সমর্থকরা অবশ্য মঙ্গলবার সকালে তাদের উদযাপনের লাগাম টেনে বলেছে, তারা এখনও মনে করছে, তাদের দলই হরিয়ানায় জিতবে।
২০১৯ সালে হরিয়ানায় সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৯০টির মধ্যে ৪০টি আসনে জয় পেয়েছিল। কংগ্রেস ৩১টি ও জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি) পেয়েছিল ১০টি আসন।
রাজ্যে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ৪৫টি আসন থেকে ৫টি আসন কম পাওয়ায় সেবার জেজেপিকে নিয়ে সরকার গঠন করেছিল বিজেপি।
এদিকে, ২০১৯ সালে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথম জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভার ৯০টি আসনে ভোট হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে তিন ধাপে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।
মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ফারুক আব্দুল্লাহর জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএনসি) ও কংগ্রেস জোট ৯০টির মধ্যে ৪১টি আসনে এগিয়ে আছে।
অন্যদিকে বিজেপি ২২টি ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি ৫টি আসনে জয় পেয়েছে।