বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তার ক্ষমা প্রার্থনার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আদালত এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহের যেকোনও দিন আদেশ দেবে।
গত এপ্রিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আলালের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ভিডিও ইউটিউবে প্রচারিত হয়। ভিডিওটি সেসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নজরে আসে।
পরে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
বিষয়টি আমলে নিয়ে হাইকোর্ট আলালের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
একইসঙ্গে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিও সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৫ মে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক শুনানিতে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে ১৪ মে মঙ্গলবার আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়।
নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে বিচার বিভাগ সংক্রান্ত বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চান আলাল। শুনানিতে তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
শুনানি শেষে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, “মোয়াজ্জেম হোসেন এই বারের (সুপ্রিম কোর্ট বার) একজন সদস্য। তিনি যে কথাগুলো বলেছেন, সেটি তার খেয়াল ছিল। আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক, তা মোয়াজ্জেম হোসেন চাননি।
“এজন্য তিনি আজ আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। তার পক্ষে আমরাও বলেছি, আদালতের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হোক, এমনটি তার চাওয়া ছিল না। সব শুনে আদালত তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয় এবং আগামী সপ্তাহের যেকোনও দিন আদেশ দেবে বলে জানায়।”