Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

যানজটে ভোগান্তির জন্য বিএনপির দুঃখ প্রকাশ

খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঘিরে নেতাকর্মীদের এমন ভিড়ই সেদিন ঢাকার একাংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি করেছিল। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
খালেদা জিয়ার গাড়িবহর ঘিরে নেতাকর্মীদের এমন ভিড়ই সেদিন ঢাকার একাংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি করেছিল। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়ার দিন বিমানবন্দর সড়কে সৃষ্ট তীব্র যানজটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।

বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

লন্ডন যেতে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার পর গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে বের হন খালেদা জিয়া। তাকে বিদায় দিতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নেন বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। তারা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে গোটা সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্ট হয়।

এতে ভোগান্তিতে পড়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। অনেকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মির্জা ফখরুল বিবৃতিতে বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের বাসা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবার পথে বিপুল সংখ্যক জনগণ তাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে আসেন। দীর্ঘদিন অন্যায় আক্রোশের শিকার হওয়া দেশনেত্রীর প্রতি জনগণের অমূল্য এই ভালোবাসা প্রকাশের কারণে সেদিন রাস্তায় অনেক যানজট হয় এবং অনেকের জন্যে বিভিন্ন অসুবিধার কারণ হয়।

“বিএনপির পক্ষ থেকে এজন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকাবাসী এই সাময়িক অসুবিধাকে সুনজরে দেখবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।”

বিবৃতিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, “দেশবাসী অবগত আছেন যে, বিগত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আক্রোশের শিকার হয়ে দেশনেত্রী ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেশবাসীর এটাও স্মরণ আছে যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধা বেগম খালেদা জিয়া কোনও অন্যায়ের প্রতি আপোষ না করে, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা দেখিয়ে বিগত সরকারের দেয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন।

“কারাগারে থাকাকালীন উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করার পরেও তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান বটে; কিন্তু শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হওয়ায় তাকে বিদেশে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।”

এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমানে করে খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল।

পরদিন বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানে তাকে স্বাগত জানান বড় ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান; যাদের সঙ্গে সাত বছরের বেশির সময় পর তার দেখা হলো।  

৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে কয়েক বছর আগে। এর মধ্যে তার হৃদপিণ্ডে স্টেন্ট বসানো হয়, বসানো হয় পেস মেকারও।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত