Beta
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

‘ন্যূনতম সংস্কার’ শেষে দ্রুত নির্বাচনের আশা বিএনপির 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
[publishpress_authors_box]

অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে ন্যূনতম সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে আবারও তাগাদা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে সভাপতি করে সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে এই কমিশনের সহসভাপতি করা হয়েছে।

শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা। এদিন বেলা ৩টার কিছু পরে ২৬টি রাজনৈতিক দল ও জোটের শতাধিক প্রতিনিধি নিয়ে এ সভা হয়। ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রধানরাও সংলাপে উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।  

সংলাপে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় এবং বরাবরের মতো দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে তাগাদা দেওয়া হয়েছে বলে জানান  বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, “আমরা আশা করব, খুব দ্রুত এই সংস্কারের বিষয়ে ন্যূনতম যে ঐকমত্য তৈরি হবে, সেটার ওপর ভিত্তি করে অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে হতে হবে বলে আবার বিএনপি তাদের অবস্থান বৈঠকে তুলে ধরেছে। এ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে। তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।”

প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম সভা করলেন। এই সভায় তিনি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।  

সে প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথম বৈঠকটি ছিল মূলত পরিচিতিমূলক, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব মতামত উপস্থাপন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কার্যকর ও গঠনমূলক আলোচনা হয়নি।

জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র কাঠামোতে সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে, তা করা না গেলে অন্তর্বর্তী সরকারের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অসংখ্য ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে সুযোগ পাওয়া গেছে, তা ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা কেবল মাত্র সুপারিশগুলো নিয়ে এসেছি, আমরা শুধু সাচিবিক কাজগুলো আপনাদের করে দিলাম। এটা আমার কাজ না, এটা আপনাদের কাজ, যেহেতু আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত